ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গেইল-তামিম ঝড়ে উড়ে গেল রংপুর

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

গেইল-তামিম ঝড়ে উড়ে গেল রংপুর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরুতে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দানবীয় ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ব্যাটিংয়ে ঝড় তুললেন। ২৬ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করলেন। সেই ঝড়েইতো উড়ে গেল রংপুর রাইডার্স। এরপর তামিম ইকবালের অপরাজিত ৬২ ও এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ২২ রানে ৯ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিল চিটাগাং ভাইকিংস। রংপুরের করা ১২৪ রান অতিক্রম করতে গিয়ে ৪ ওভার বাকি থাকতে ১২৮ রান করে জিতে চিটাগাং। প্রথম পর্বে রংপুরের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল চিটাগাং। এবার গেইল যুক্ত হওয়ায় বদলা নিয়ে নিল চিটাগাং। সেই সঙ্গে ১০ পয়েন্ট পেয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে সমান পয়েন্ট থাকা রংপুরকে চতুর্থ স্থানে ঠেলে দিয়ে তৃতীয় স্থানেও উঠে যায় চিটাগাং। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো ছাড়া স্টেডিয়াম ফাঁকা থাকতেই দেখা গেছে। অথচ রবিবার দেখা গেল পুরো উল্টো। স্টেডিয়ামে দর্শক ভরপুর। কেন? একটি উত্তরই সবার মনে জায়গা করে নেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দানবীয় ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল যে খেলতে নেমেছেন। ম্যাচে ‘হার-জিত’ কী হবে, তা নিয়ে কারোরই যেন মাথা ব্যথা থাকেনি। শুধু গেইলের ব্যাটিং দেখতেই সবাই অপেক্ষায় থাকেন। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হয় রংপুরের ইনিংস শেষ হওয়ার পর। গেইল আগেরদিন বলেছিলেন, আমাকে সবাই ‘সিক্স মেশিন’ হিসেবে চিনে। আমি সবচেয়ে ভাল পারি ছক্কা মারতে। কিন্তু গেইল শুরুতে একটু ঝিমিয়েই থাকেন। ১০ বলে গিয়ে বাউন্ডারি হাকান। তারও ৭ বল পর ১৮তম বলে গিয়ে ছক্কা হাকান। শুধু তাই নয়। সোহাগ গাজীর টানা দুই বলে ছক্কা হাকান। দর্শকদের সে কী উত্তেজনা! ‘গেইল, গেইল’ রব উঠে। তবে দলের ৪৯ রানের সময় নিজের ২৪ রানেই আউট হয়ে যেতে পারতেন গেইল। পেসার রুবেল হোসেনের বলটি আঙ্গুলের ছোয়া লেগে উইকেটরক্ষকের হাতের কাছ দিয়ে যায়। ক্যাচ আউট হওয়া থেকে বাচেন গেইল। তবে বিপিএলের চতুর্থ আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি গেইল। ম্যাচে চিটাগাং-রংপুর লড়াইয়ে ছাপিয়েও গেইল-আফ্রিদি লড়াই দেখার ছিল। গেইলও জমিয়ে দিলেন। আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ছক্কা হাকালেন। আফ্রিদিও জমিয়ে তুললেন। ষষ্ঠ বলেই গেইলকে আউট করে দিলেন। ২৬ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন গেইল। গেইল-আফ্রিদি লড়াইয়ে আসলে জয় হন আফ্রিদিরই বলা চলে। আউট হওয়ার আগে তামিমের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়েন গেইল। তাতেই চিটাগাং যে জিতবে, বোঝা হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও এনামুল হক বিজয় ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে দেন। চিটাগাং সেই সঙ্গে টানা চতুর্থ জয়ও পায়। চিটাগাংয়ের ইনিংস শুরুর আগে শুরুতে রংপুরের দুই ওপেনার শাহজাদ ও সৌম্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে ৩৪ রানে গিয়ে সৌম্য (২৬) আউট হয়ে যান। এরপর যখন ৬১ রানে মিঠুনও সাজঘরে ফেরেন, সব যেন ওলট-পালট হয়ে যায়। এক রান যোগ হতেই শাহজাদও আউট হন। এরপর ডওসন ও আফ্রিদি মিলে দলকে ৯২ রানে নিয়ে যান। এমন সময়ে আফ্রিদি আউট হতেই কিছুক্ষণ পরপর উইকেট পড়তে থাকে। ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর। সেই সঙ্গে চিটাগাং বোলারদের চাপে স্কোরবোর্ডে রানও বেশি যোগ করতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ১২৪ রানের বেশি করতেই পারেনি। তাতে হারও হয় রংপুরের। স্কোর ॥ রংপুর রাইডার্স-চিটাগাং ভাইকিংস ম্যাচ রংপুর ইনিংস ১২৪/৬; ২০ ওভার (শাহজাদ ২১, সৌম্য ২৬, মিঠুন ১২, ডওসন ১৪, নাঈম ৩ (রি.হা.), আফ্রিদি ১৩, আনোয়ার ২০*, মুক্তার ৪, সোহাগ ১*; তাসকিন ২/২৫, নবী ২/৩১)। চিটাগাং ইনিংস ১২৮/১; ১৬ ওভার (তামিম ৬২*, গেইল ৪০, বিজয় ২২*; আফ্রিদি ১/২৫) ফল ॥ চিটাগাং ভাইকিংস ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা ॥ তামিম ইকবাল (চিটাগাং ভাইকিংস)।
×