ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৩৩ টাকা কেজিতে তিন লাখ মে. টন আমন চাল কিনবে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

৩৩ টাকা কেজিতে তিন লাখ মে. টন আমন চাল কিনবে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে তিন লাখ মেট্রিকটন আমন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। বিগত বছরের চেয়ে এবার এক লাখ মেট্রিক টন চাল বেশি সংগ্রহ করা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে আমন সংগ্রহ কর্মসূচী চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা বলেন। সরকার আমনে গত বছর ৩১ টাকা দরে দুই লাখ টন চাল সংগ্রহ করেছিল। তখন উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ধানে হয়েছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা ও চালে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার আমনে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় ১৯ টাকা ও চাল উৎপাদন ব্যয় ২৯ টাকা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কৃষকের উৎপাদন খরচ ৫০ পয়সা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরকারী সংগ্রহ মূল্য ভবিষ্যতে হাসকিং মিলের চাল আর কেনা হবে না ॥ ধানভাঙার মিলগুলোকে (হাসকিং মিল) অটোমেটিক মিলে রূপান্তরে বার বার নির্দেশনা দেয়া হলেও তারা তা মানেনি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অটোমেটিক মিলে রূপান্তরিত না হলেও সেমি-অটোমেটিক মিলেও রূপান্তর করা তাদের জন্য খুব একটা কষ্টকর নয়। আমরা তাদের বারবার সময় দিচ্ছি। ২০১৪ পর্যন্ত শেষ সময় ছিল, পরে ২০১৫ পর্যন্ত সময় নেয়। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হাসকিং মিল সেমি-অটোমিলে রূপান্তরিত হয়নি। তিনি বলেন, যার ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারই হাসকিং মিল থেকে শেষবারের মতো চাল কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হব। আগামী বোরো মৌসুম থেকে আমরা কোন হাসকিং মিলের সাথে চাল কেনার চুক্তি করব না, এটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত।’ খাদ্যশস্যের মজুদ সন্তোষজনক ॥ বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। গত বছরের এই সময় ১৫ লাখ টনের উপরে মজুদ ছিল বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে এই মজুদ সন্তোষজনক। কামরুল ইসলাম বলেন, গতবার আমাদের অস্বাভাবিক মজুদ ছিল। এখন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মজুদ আছে। টিআর-কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) এখন টিআর-কাবিটায় (কাজের বিনিময়ে টাকা) রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে ৮ লাখ টন কিন্তু আমাদের চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যে মজুদ আছে তা সন্তোষজনক। মজুদ কম নেই। মজুদ এত কম বলে যারা বিরূপ মন্তব্য করেন তারা সঠিক বলেন না। খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ কমিটির সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য আধিদফতর এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×