ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা মেডিক্যালের সামনের সড়ক হবে শহীদ ডাঃ মিলনের নামে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

ঢাকা মেডিক্যালের সামনের সড়ক হবে শহীদ ডাঃ মিলনের নামে ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের সড়কের নাম শহীদ ডাঃ মিলনের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঃ মিলন নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি গণতন্ত্রের শক্তি। তার আত্মত্যাগ চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে গণঅব্যুত্থানে রূপ দেয়। সুগম হয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার। ফলে আজ আমরা অবাধ গণতন্ত্র ভোগ করছি। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ চিরদিন ডাঃ মিলনকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের সড়কের নাম মিলনের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্য এ নামকরণের উদ্বোধন করা হবে। রবিবার শহীদ ডাঃ মিলনের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে মিলনের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্মরণ সভার আগে সকাল আটটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ বেদিতে এবং সকাল সাড়ে আটটায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ উত্তম বড়ুয়া প্রমুখ। ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া ঘাতকদের গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নির্মমভাবে নিহত হন শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। নীতিমালার বাইরে থাকা সকল মেডিক্যাল কলেজ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নীতিমালার সঙ্গে মিল না থাকায় ইতোমধ্যে কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। আরও তদন্ত করা হচ্ছে, যেগুলো নীতিমালার সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে না সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। এর আগে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে এবারও সেভাবেই কমিশন গঠন হবে। যারা মাগুরা মার্কা নির্বাচন করে নির্বাচনকে কলুষিত করেছে তারা কিভাবে কমিশন গঠন নিয়ে কথা বলেন? শহীদ মিলনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে মিলনের আত্মাহুতি, তা বাস্তবায়ন করতে হলে সকল বিভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শহীদ মিলনের মা সেলিনা আকতার বলেন, ২৬ বছর পার হয়ে গেলেও মিলনের খুনী স্বৈরাচার এরশাদের বিচার হয়নি। বরং সরকারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। তিনি অবিলম্বে মিলন হত্যার বিচার দাবি করেন। স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ বলেন, শহীদ ডাঃ মিলন ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী এক সৈনিক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। মিলন গণতন্ত্রের শক্তি। তার আত্মত্যাগে সুগম হয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার। ফলে আজ আমরা অবাধ গণতন্ত্র ভোগ করছি।
×