ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশ ॥ কলগার্লসহ এএসআই আটক

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশ ॥ কলগার্লসহ এএসআই আটক

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কৌশল রপ্ত করেই অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশ। ধরা পড়ার পর আবার সোর্সের দোহাই দিয়ে বাঁচার ও অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শাহ আমানত সেতুর দুই পাশেই দুই থানা পুলিশের অবস্থান। তারপরও ইয়াবা ও অস্ত্রের চালান আসছে এই সেতুর উপর দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে। অভিযোগ রয়েছে, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী থানা পুলিশের কারণেই মিয়ানমার, টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে আসা ইয়াবার চালান বেশিরভাগই পুলিশের কাছে থেকে যায়। অবশেষে বাকলিয়া থানার এএসআই রিদওয়ান স্বীকার করেছে ইয়াবার চালানের সঙ্গে ও ইয়াবার সোর্স এবং কারবারীর সঙ্গে পুলিশের সখ্যতার বিষয়টি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা টিমের হাতে আটক রিদওয়ান ও তার বান্ধবী জেরিন এবং ইয়াবা বিক্রেতা জিল্লুরসহ তিনজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটকের পর এএসআই রিদওয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে আইস ফ্যাক্টরি রোডে প্রাইভেটকার থেকে এএসআই রিদওয়ান, জিল্লুর রহমান ও রিদওয়ানের বান্ধবী জেরিনকে আটক করা হয়। গাড়িতে তল্লাশি করে ১৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা বিভাগের এসআই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় রিদওয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, রিদওয়ান স্বীকারও করেছে সে গত ১৫ দিন আগে এসব ইয়াবা কর্ণফুলী সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে। ১৮ নবেম্বর থেকে তার ডিউটি ছিল বিপিএল খেলার জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায়। আগামী ২৮ নবেম্বর পর্যন্ত বাকলিয়ার পরিবর্তে সেখানে ডিউটি করার কথা।
×