অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ইন্টারনেট সেবা খাতে আলো দেখাচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, দেড় হাজার জিবিপিএস ক্ষমতার এ সাবমেরিন চালু হলে গ্রাহকদের ব্যয় কমবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবায় চলমান সমস্যার সমাধান হবে বলেও প্রত্যাশা তাদের। আর টেলিযোগ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলকে ইন্টারনেটের আওতায় এনে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ রফতানিতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় ১০ একর জমির ওপর শুরু হয় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে সাগরের তলদেশ দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল স্থাপনের কাজ শেষ করেছে বিএসসিসিএল। প্রস্তুত ফাংশনাল ভবনের মূল স্থাপনা, ডরমিটরিসহ অবকাঠামোগত অনুষঙ্গ। নিজস্ব ইলেক্ট্রিকাল পোস্ট নির্মাণকাজও শেষ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শেষ পর্যায়ে থাকা কুয়াকাটা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত তিন শ’ কিলোমিটার ব্যাকবোন তৈরি হলেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল। তাদের দাবি, প্রথম সাবমেরিন কেবলের চেয়ে আটগুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এ স্টেশনটি চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুতগতির ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রত্যাশা ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের। আর টেলিকম বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এ স্টেশন চালু হলে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা বাড়লে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘অনেকের অভিযোগ আছে ইন্টারনেট নাকি অনেক ধীরগতির।