ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীনগরে শামসু হত্যার রহস্য উন্মোচন, আসামি জসিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

শ্রীনগরে শামসু হত্যার রহস্য উন্মোচন, আসামি জসিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ অবশেষে শ্রীনগরের চাঞ্চল্যকর শামসু পাঠান হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। আসামি জসিম শনিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এর মধ্য দিয়ে ২ বছর ১ মাস পর আলোচিত এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হলো। শ্রীনগর থানায় চাঞ্চল্যকর এই মামলায় কোন অগ্রগতি ছাড়াই ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে তখনই বিষয়টি এসপির সুপারের নজরে আসে। পরে থানা থেকে মামলাটি ডিবি পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। ১৭ নবেম্বর মামলার ডকেট হাতে পেয়ে ডিবি পুলিশ কাজ শুরুর ১০ দিনের মাথায় এই সাফল্য পায়। এর আগে অপর আসামি মুফতি গত ২১ নবেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। মুফতি এখনও জেল হাজতে রয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামি জসিমকে বৃহস্পতিবার (২৪ নবেম্বর) বাঘড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে দু’দিনের রিমান্ডে আনা হয়। শনিবার তার জাবানবন্দী রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উমা রানী দাস। ডিবি পুলিশ জানায়, এই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকা-ের সঙ্গে ছয় জন জড়িত। পুলিশ বাকি চার জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি মুফতির ভাই সেলিমকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শামসুকে জবাই করে এই সেলিম। সহযোগিতায় ছিল জসিম ও মুফতিসহ পাঁচজন। পাশের বাড়ির শামসু (২৯) মুফতির ড্রেজারের কর্মচারী ছিল। শামসুর সঙ্গে সেলিমের স্ত্রীর সম্পর্ক হয়েছে এমন সন্দেহে হত্যাকা-টি ঘটে। পুলিশ জানায়, সেলিম, মুফতি ও জসিম একই সঙ্গে নেশা করে। আর সকলে পরিকল্পনা করেই হত্যাকা-টি ঘটায়। পুলিশ জানায়, মুফতি (৪৫) ও সেলিম (৫০) বাঘড়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের ভাই। তাই প্রভাব খাটিয়ে নানাভাবে আসামিদের রক্ষার চেষ্টা হয়। সে কারণেই অজ্ঞাত আসামি করে মামলা গ্রহণ ও প্রায় দু’বছর ধরেই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির কোন অগ্রগতি হচ্ছিল না। ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর শামসু খুন হয়। পরদিন নিহতের বড় ভাই লিঙ্কন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিবি পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল কালাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম, এস আই সুব্রত দেবনাথ, এএসআই আব্দুর রহিম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে প্রথমে গ্রেফতার হয় বাঘড়া গ্রামের মৃত মোহর আলী খলিফার ছেলে মুফতি। পরে পশ্চিম বাঘড়া থেকে গ্রেফতার হয় মালেকের ছেলে জসিম। নিহত শামসু পাঠান বাঘড়া গ্রামের মৃত সোলায়মান পাঠানের পুত্র।
×