ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রন্থনা : ওয়ালীউল্লাহ মিঠু

ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাও ‘লাইব্রেরি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দু’

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাও ‘লাইব্রেরি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দু’

ম্যাকাও, দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর আয়তন মাত্র ৩০ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি। এ কারণে ম্যাকাও পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাও ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভাষা ইংরেজী এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ক্ষেত্র বিশেষে চাইনিজ এবং পর্তুগীজও ব্যবহৃত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাওতে রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ রেসিডেনশিয়াল কলেজ সিস্টেম। প্রথম বাংলাদেশী স্নাতক শিক্ষার্থী হিসাবে যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম তখন থেকে আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রতিটি ধাপে শিহরিত হয়েছি। আমি মূলত ম্যাকাও ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের অধীনে এই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত। এই স্কলারশিপের সুবিধা হলো টিউশন ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ ফাউন্ডেশন বহন করে। ক্যাম্পাসে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অতি নগণ্য হলেও চীনাদের আন্তরিকতা আর ভালবাসায় কখন মনেই হয়নি যে প্রিয় স্বদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে আছি। প্রথম দিকে ম্যাকাওয়ের সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিতে খানিকটা অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে তা কেটে গেছে। ম্যাকাওয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ম্যাকাও একই সঙ্গে পর্যটন এবং আন্তর্জাতিক শহর। এ কারণে ইংরেজীতেই সকল সুবিধা পাওয়া যায় এখানে। যা অত্যন্ত সহায়ক বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য। আমার অধিকাংশ সময় কাটে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। এখানে ডিজিটাল সুবিধা বেশ ভাল মানের। বর্তমানে যুক্ত আছি বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে। সম্প্রতি যোগ দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রধান সংঘ ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাও স্টুডেন্টস ইউনিয়নে। এছাড়া গড়ে তুলেছি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঝঃঁফবহঃং এৎড়ঁঢ় (ওঝএ)। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও চলছে নিয়মিত। এই তো সেদিন যোগ দিয়েছিলাম ম্যাকাওয়ের সবচেয়ে বড় জাতিসংঘ মডেল অধিবেশনে আর অর্জন করেছিলাম সেরা প্রতিনিধির তকমা। এখানে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎসবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি যার অনুভূতি অতুলনীয়। লেখক : মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন (শুভরাজ) শিক্ষার্থী, কম্পিউটার এ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স ইউনিভার্সিটি অব ম্যাকাও
×