ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জমে উঠেছে ফুডপ্রো এক্সপো

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

জমে উঠেছে ফুডপ্রো এক্সপো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দর্শনার্থী, দেশী ও বিদেশী ক্রেতাদের পদচারণায় শেষদিনে জমে উঠেছে চতুর্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬। শনিবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশ এ্যাগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং এক্সট্রিম এক্সিবিশন এ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড আয়োজন করেছে ৪র্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬। মেলায় স্টল দিয়েছে হিফস এ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ। স্টলটিতে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্টলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি ম্যাঙ্গো আইস পপ ও ম্যাঙ্গো আইস ললির দিকে। যে পণ্যটি সুনামের সঙ্গে দেশে ও বহির্বিশ্বে রফতানি হচ্ছে। এক প্যাক ম্যাঙ্গো আইস পপ ক্রয় করলেন তানিয়া রহমান। তিনি বলেন, এটি ছোট্ট শিশুদের জনপ্রিয় একটি খাবার। এ খাবারে আমার জানা মতে কোন ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান নেই। এজন্য ছেলে ফাহিমের জন্য এক প্যাকেট ম্যাঙ্গো আইস কিনেছি। পণ্যটি সম্পর্কে জানতে চাইলে হিফস এ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাট্রিজের সেলস কো-অর্ডিনেটর নাঈম আকন বলেন, এই পণ্যটিসহ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বর্হিবিশ্বের ১৪টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। আমাদের পণ্যের গুণগতমান অন্যান্য যে কোন কোম্পানির চেয়ে অনেক ভাল। এছাড়া মার্কেটেও বর্তমানে আমাদের অনেক সুনাম রয়েছে। কিষোয়ান ড়্রুপ অব কোম্পানিজের স্টলে ক্রেতাদের নজর বাহারি ধরনের আচারে। যে আচার তারা বিদেশে রফতানি করছে। স্টলটিতে আসা দর্শনার্থী রাবেয়া ইসলাম বলেন, কিষোয়ানের আচার অনেক ভাল। আর মেলাতে বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যাচ্ছে। অবকাঠামোগত সুবিধা ছাড়াই চলেছে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবকাঠামোগত অনেক সুযোগ সুবিধা ছাড়াই এগিয়ে চলেছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার কার্যক্রম। উদ্বোধনের পর বেশ কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাস হয়েছে বন্দরটিতে। আর পণ্য খালাস করতে গিয়ে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন বোধ করছেন শিপিং এজেন্ট, আমদানিকারক ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের পর দেশের তৃতীয় বন্দর হিসেবে পায়রায় পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিমেন্ট ক্লিংকার, পাথর ও পদ্মা সেতুর ইকুইপমেন্টবাহী জাহাজ আসছে এ বন্দরে। প্রতিদিন চলছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। আমদানি-রফতানিকারক এবং পণ্য বহনকারী জাহাজগুলো এখানে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বন্দরটিতে নেই জেটি, উন্নত মানের ক্রেন ও শেড। যে কারণে কন্টেনার ও ফ্রোজেন পণ্যবাহী জাহাজের মালামাল খালাসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আর রামনাবাদ চ্যানেলে ঢোকার মুখে নাব্য স্বল্পতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জাহাজ। এছাড়া বন্দর থেকে ভারি পরিবহন উপযোগী রাস্তা তৈরি না হওয়ায় খালাস হওয়া পণ্য নিতে সমস্যা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
×