ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ॥ শেখ রাসেল ২-০ মুক্তিযোদ্ধা

ইকাঙ্গার জোড়া গোলে শেখ রাসেলের জয়

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

ইকাঙ্গার জোড়া গোলে শেখ রাসেলের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মারুফুল হককে সরিয়ে শফিকুল ইসলাম মানিককে কোচ করার পর থেকেই বেশ ভাল খেলতে শুরু করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। গত ৫ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে তারা। পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকেও ধীরে ধীরে উঠে আসছে মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থানে। তারই ঝলক দেখা গেল শনিবার ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে তারা ২-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। প্রথম লেগে এই মুক্তিযোদ্ধার কাছেই হার মেনেছিল শেখ রাসেল। দ্বিতীয় লেগে সেই একই ব্যবধানে মুক্তিকে হারিয়ে বদলাটা কড়ায়-গ-ায় নিয়ে নিল রাসেল। নিজেদের সপ্তদশ ম্যাচে এটা একবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন রাসেলের পঞ্চম জয়। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা নবম থেকে অষ্টম অবস্থানে উঠে আসলো। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা মুক্তির ষষ্ঠ হার। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে আগের পঞ্চম স্থানেই। ১১ মিনিটে ফ্রি কিক পায় রাসেল। জামাল ভুঁইয়ার ফ্রি কিক বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মাথায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৮ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডার পিন্টু কুমার দাশের মাপা কর্নারের বল তার সতীর্থরা শট নেবার আগেই বল বিপদমুক্ত করেন রাসেলের একাধিক ডিফেন্ডার। ২৪ মিনিটে অফসাইডের কারণে রাসেলের একটি গোল বাতিল হয়। ২৭ মিনিটে মুক্তির নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার সিমন ইজেওদিকার শট প্রায় জালে ঢুকে যাচ্ছিল। লাফিয়ে উঠে বল বিপদমুক্ত করতে চেষ্টা করেও ধরতে পারেননি রাসেলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য। তবে তিনি ও তার দল বেঁচে যায় বল পোস্টে লাগায়। ৩৪ মিনিটে ফ্রি কিক পায় রাসেল। কিন্তু হাইতিয়ান মিডফিল্ডার সেবাস্তিয়ানের কৌণিক শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৩৬ মিনিট। অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর কর্নার। ক্যামেরুন ডিফেন্ডার জঁ জুলস ইকাঙ্গার হেড। গোল। রাসেল লিড নেয় (১-০)। ৪২ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার মোবারক একক প্রচেষ্টায় বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন। রাসেলের ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ বল বিপদমুক্ত করলেও বক্সেই ছিল বল। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মুক্তির নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার সিমন। ৪৪ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক বিপ্লবকে সামনাসামনি একা পেয়েও পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন মুক্তির নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কোলো মুসা। ৮১ মিনিট। ব্যবধান দ্বিগুণ করে রাসেল। এবারও সেই মিশু-ইকাঙ্গার কম্বিনেশন। এবারও হেডে ইকাঙ্গার গোল। তবে এবারের গোলটি কর্নার থেকে নয়, হয় দূরপাল্লার উঁচু ক্রস থেকে। মাঠের বাঁপ্রান্ত থেকে মুক্তিযোদ্ধার গোলমুখে মাপা ও উঁচু ক্রস ফেলেন মিশু। আবারও লাফিয়ে উঠে তাতে মাথার সংযোগ ঘটিয়ে মুক্তি গোলরক্ষক মামুন খানকে পরাস্ত করেন ইকাঙ্গা (২-০)। লীগে এটা ইকাঙ্গার ব্যক্তিগত পঞ্চম গোল। শেষ পর্যন্ত ওই স্কোরেই খেলা শেষ হলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়ার তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে মানিকের শিষ্যরা।
×