ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

বরিশালে ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ চোর ও ডাকাত আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছেন গ্রামবাসী। গত ২২ নবেম্বর উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারের মৎস্য আড়তে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি হওয়ার পর চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে অন্যান্য বাজার ও বন্দরগুলোতে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, হিজলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সূত্রমতে, ডাকাতিকালে একাধিক বাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সামাজিক অবস্থানের কারণে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মুখ খুলছে না। এসব ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ডাকাত আতঙ্ক কাটছে না। ফলে উপায়ান্তর না পেয়ে গ্রামবাসী নিজেদের নিরাপত্তায় গত এক মাস ধরে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে। এমনকি এলাকার চিহ্নিত চোর কিংবা ডাকাতদের আটক করে থানা পুলিশের কাছেও সোর্পদ করছে। পহেলা নবেম্বর আগৈলঝাড়ার ছয়গ্রাম এলাকার সেলিম হাওলাদারের গৃহে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর পূর্বে ২৪ অক্টোবর একই গ্রামের আতাউর রহমান হাওলাদারের গৃহে, ৩০ অক্টোবর সেরাল গ্রামের জাকির হোসেনের গৃহে, ৭ অক্টোবর সেরাল গ্রামের আব্দুল হক সন্যামতের গৃহে, গত ২৩ নবেম্বর বাবুগঞ্জের আগরপুরের একটি বেসরকারী অফিসে, একমাস পূর্বে গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিল্বগ্রাম এলাকার পলাশ খানের গৃহে, দক্ষিণ বিল্বগ্রামের কাদের তালুকদারের গৃহে ও গৌরনদী হাইওয়ে থানা সংলগ্ন স্থানের মা ও মনি জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। এছাড়াও গৌরনদী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে দিনে দুপুরে বিকাশের বিক্রয় প্রতিনিধির কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর পূর্বে হিজলার মাছ বাজারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। মাগুরায় সংঘর্ষে ২ নারীসহ আহত সাত নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ২৬ নবেম্বর ॥ শনিবার সকালে সদর উপজেলার আসবা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনকে মাগুরা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন লিটু মজুমদার, মমতা মজুমদার, অর্চনা মজুমদার, সুব্রত, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও রঞ্জন মজুমদার। তবে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ তাদের ওপর হামলা করে আহত করেছে। জানা যায়, সদর উপজেলার আসবা গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এক দলের নেতা শিক্ষক জনৈক অরুন কুমার ও তার স্ত্রী ইউপি সদস্য কানন বালা এবং অন্যদলের নেতা সুধাংশু সরকার। তাদের সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
×