ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রায় অবাধে বালু উত্তোলন ॥ হুমকিতে ২৫ গ্রাম

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

পায়রায় অবাধে বালু উত্তোলন ॥ হুমকিতে ২৫ গ্রাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৬ নবেম্বর ॥ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পায়রা নদীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকা থেকে দেদার বালু উত্তোলনের হিড়িক চলছে। আমতলী-তালতলী ও বরগুনা সদর উপজেলার কোলঘেঁষে প্রবাহিত পায়রা নদী। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার ও প্রস্থ সাড়ে তিন কিলোমিটার। এ নদীর বগীরবাজার, জয়ালভাঙ্গা, বালিয়াতলী, লোচা, আমতলী পৌরসভা, ফেরিঘাট বৈঠাকাটা, পশ্চিম ঘটখালী, পচাঁকোড়ালিয়া, তালতলী, তেঁতুলবাড়িয়া, তালুকদারবাড়িসহ ২৫টি গ্রাম ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। বালুদস্যুরা এ সমস্ত এলাকায় ড্রেজার দিয়ে দেদার বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরেজমিন দেখা গেছে, ছোটবগীবাজার, পশ্চিম ঘটখালী, আমতলী পৌর শহর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আমতলী ফেরিঘাট, পচাঁকোড়ালিয়া ও তালতলীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় দেদার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। তালতলীর ছোটবগীবাজার এলাকার মোঃ জাকির হোসেন চুন্নু জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এক কিলোমিটার পায়রা নদীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকার একদিকে ব্লক নির্মাণ হচ্ছে, অন্যদিকে ওই এলাকার নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্লক নির্মাণ এলাকা। তিনি ভাঙ্গনকবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান। বালিয়াতলীর সাইদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। বৈঠাকাটার ইউসুফ মিয়া জানান ‘বর্ষা হলে ভাঙ্গন শুরু হয়, যেভাবে বালি তুল্লা লইয়্যা যাইতেছে, হ্যাতে মোগো বাড়িঘর থাকবে না।’ পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, ‘পায়রার ভাঙ্গনে মোগো ইস্কুল, ক্লিনিক ও মসজিদ গ্যাছে। যেভাবে বালু উডাইতেছে হ্যাতে এহোন মোগো বাড়িঘর যাইবে।’ চাওড়া ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বড় ধরনে হুমকির মুখে পড়ছে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা। আমতলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×