ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মমতা জুজুতেই হার্দিকে নরম বিজেপি

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

মমতা জুজুতেই হার্দিকে নরম বিজেপি

অনলাইন ডেস্ক ॥লখনউ, পটনার পরে গন্তব্য একেবারে গুজরাতের রাজধানী গাঁধীনগর! নোট বাতিল প্রশ্নে কেন্দ্র-বিরোধী সুর চড়াতে এ বার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে মমতা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পরবর্তী পর্যায়েই গাঁধীনগরে যাবেন তিনি। আর এতেই তড়িঘড়ি রাজ্যের পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটলের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে বসল সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। নোট বাতিলের জেরে মানুষের হয়রানি এবং রাজ্য সরকারগুলির সমস্যা নিয়ে সরব হয়ে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন মমতা। দিল্লিতে একপ্রস্ত বিক্ষোভের পরে যাবেন লখনউ, পটনা, গাঁধীনগর-সহ দেশের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই লখনউ ও পটনায় মমতাকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুলায়ম সিংহ যাদব ও লালুপ্রসাদের দল। ফলে দু’জায়গাতেই সভা সফল হবে বলেই তৃণমূলের বিশ্বাস। কিন্তু গুজরাতে যেন হার্দিককে পাশে না পান মমতা, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। গত কিছু দিনের মধ্যে পতিদারদের জন্য সংরক্ষণ ও অন্য দাবিদাওয়া নিয়ে হার্দিকদের আন্দোলন সম্পর্কে তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করেনি গুজরাতের বিজেপি সরকার। ৮ নভেম্বরের পরে বাকি বিরোধীদের মতো হার্দিক নোট বাতিলের বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন। এ বারে মমতা রাজ্যে আসছেন শুনেই নড়ে বসল গুজরাত সরকার। আলোচনায় বসতে চাইল হার্দিকের সঙ্গে। উদ্দেশ্য, বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলানোর আগেই হার্দিককে নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসা। বিজেপি জানে, গাঁধীনগরে মমতাকে যদি মোদী-বিরোধী সভা সফল করতে হয় তা হলে হার্দিকের সমর্থন প্রয়োজন হবে। গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল ও হার্দিক শিবির উভয়পক্ষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিজেপির আশঙ্কা, গাঁধীনগরে মমতার জনসভা সফল করতে হার্দিক যদি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায় সে ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়বেন মোদী-অমিত শাহরা। এবং তৃণমূলের সঙ্গে হার্দিকের সুসম্পর্কের জোরে মমতা যদি গাঁধীনগরে মোদী-বিরোধী সভা সফল ভাবে সেরে ফেলতে পারেন, তাতে মুখ পুড়বে প্রধানমন্ত্রী মোদীরই। সেই কারণেই মমতা-হার্দিকের জোট ভাঙতে শুরুতেই তৎপর হতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দু’পক্ষের আঁতাত রুখতে এত দিন পরে হঠাৎ পতিদারদের দাবিদাওয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। ঘরোয়া ভাবে হার্দিককে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেলের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন। তাই সরকারের সঙ্গে হার্দিক ও তাঁর অনুগামীদের বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’ বৈঠকে বসার বিষয়ে ইচিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন হার্দিকও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×