ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অন্ধকার থাকছে সড়ক ও পাড়া মহল্লা

মহাদেবপুর সদরে ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

মহাদেবপুর সদরে  ল্যাম্পপোস্টে  বাতি নেই

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ এক সময় সড়কবাতির জ্বলে ওঠা আলোয় আলোকিত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে এখন সে আলো আর নেই। আলোর পরিবর্ততে অন্ধকারে নিমর্জিত মহাদেবপুর সদর। এখন থেকে প্রায় দেড় যুগ আগেও বিদ্যুত অভাবে উপজেলার সদরের প্রায় কলকারখানা ও বাসাবাড়ি অন্ধকারে থাকলেও উপজেলা সদরের ল্যাম্পপোস্টের বৈদতিক বাতিগুলো রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করে রাখত। বর্তমানে বিদ্যুতের তেমন কোন লোডশেডিং না থাকলেও শুধু তত্ত্বাবধানের অভাবে উপজেলা সদরের সড়কগুলোর ল্যাম্পপোস্টে থাকা বৈদুতিক বাতিগুলো আর আলোকিত করছে না রাস্তাঘাট। এ কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ওইসব ল্যাম্পপোস্টে সোডিয়াম এবং হ্যালোজিন লাইটগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে প্রায় একযুগ ধরে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সড়কবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠার কথা উপজেলা শহর। তেমনটি না হলেও সড়কের পাশে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আলোকসজ্জা আর রাস্তায় চলমান যানবাহনের আলোই পথ দেখায় পথচারীদের। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের আলোকসজ্জা বন্ধ হলে অন্ধকারে ডুবে যায় শহরের অলিগলিসহ প্রধান সড়কগুলো। রাস্তার পাশে সোডিয়াম এবং হ্যালোজিন লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও আলোহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ল্যাম্পপোস্টগুলো। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর দুষ্কৃতকারীদের কারণে রাতে অন্ধকারের কাছে হারিয়ে যায় এ শহর। রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ঘটছে ছিনতাই, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, অপহরণসহ নানা অপরাধ। অন্ধকারের সুবিধাকে কাজে লাগিযে দুষ্কৃতকারীরা একের পর এক ঘটিয়ে যাচ্ছে অঘটন। এর ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১৮ নবেম্বর রাতে একটি স্বর্ণের দোকান থেকে ১২৫ ভরি সোনা এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের ডায়মন্ডসহ নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ উপজেলা শহরে রাস্তার পাশে ৬শ’র অধিক সোডিয়াম এবং হ্যালোজিন লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কতগুলো অকেজো হয়ে আছে সে তথ্য দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে শহরের প্রাণ কেন্দ্র মাছ চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, ঘোষপাড়া মোড়, দুলালপাড়া, কলেজ রোড, পোস্ট অফিস মোড়, হাসপাতাল রোড, লিচুবাগানসহ সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কে সোডিয়াম এবং হ্যালোজিন লাইটের জন্য ‘পোল’ থাকলেও জ্বলে না সড়কবাতি। গলিগুলো সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ফলে পুরো রাস্তা রাতের বেলা থাকে আঁধারে ঢাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ দেয়ার পরও সড়কবাতির সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত।
×