ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াশিংটন ডিসিতেও 'মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যু' আইন পাশ

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

ওয়াশিংটন ডিসিতেও 'মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যু' আইন পাশ

অনলাইন ডেস্ক॥ মর্যাদার সাথে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার বিষয়ে আইন পাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দাদের মধ্যে ৬৭ ভাগ বাসিন্দা 'মর্যাদার সঙ্গে মৃত্যু আইন ২০১৫' সমর্থন করেছে। এই আইন পাশের মধ্যে দিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীদের চিকিৎসা সহায়তায় মৃত্যু নিশ্চিত করা যাবে। ওয়াশিংটন ডিসির পূর্বে ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, ওয়াশিংটন, ভারমন্ট এবং মন্টানা রাজ্যে এই আইন পাশ করা হয়। ওয়াশিংটন ডিসিতে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ভোট। কাউন্সিল মেম্বার মেরি চেহ বলেন, এই আইন পাশের মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যু পথযাত্রীদের কষ্ট লাঘব করার জন্য রোগীদের স্বেচ্ছায় শান্তিপূর্ণ মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে। এই আইন অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে এমন রোগীদের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের বরাবরে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর মৌখিক অনুরোধ করতে হবে। এই অনুরোধের পর একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করার পর আবারো মৌখিক অনুরোধ জানাতে হবে। দ্বিতীয় মৌখিক অনুরোধের পর লিখিত অনুরোধ জানাতে হবে। লিখিত অনুরোধ জানানোর পর একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করার পর সর্বনিম্ন ৪৮ ঘন্টা পরে চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন লিখবেন। চিকিৎসক প্রেসক্রিপসন লেখার পর রোগী ইচ্ছা করলে ওষুধ সেবন করবেন, কি করবেন না সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী সিদ্ধান্ত না নিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই ওষুধ হাসপালে/ফার্মাসিতে তৈরি থাকবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রোগীকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর ওষুধ দেয়া হবে। মৃত্যুর সিদ্ধান্তগ্রহণকারী রোগীকে প্রথমে বড় ডোজের ঘুমের ওষুধের সাথে মিশ্রণ করে মৃত্যুর ওষুধ দেয়া হয়। ওষুধ প্রদানের কয়েক মুহুর্তে রোগী গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে দুই মিনিটের মধ্যে রোগীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ ওষুধ প্রবেশ করানো হয়। ঘুমের ওষুধ দেয়ার পর বেশিরভাগ রোগীই ঘুমিয়ে পড়েন এবং ১০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তবে এর ব্যতিক্রমও ঘটে মাঝে মধ্যে। কোন কোন রোগী মৃত্যুর হতে এক থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। কখনো এ ক্ষেত্রে ছয় ঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে।
×