ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে বৈঠকে বসবে

দশ বছরে অনিয়মে দেয়া সব ঋণের তথ্য চাই ॥ দুদক

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

দশ বছরে অনিয়মে দেয়া সব ঋণের তথ্য চাই ॥ দুদক

রহিম শেখ ॥ অনিয়মের মাধ্যমে গত দশ বছরে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ নিয়েছে সেসব ঋণের তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয় গ্রাহক নির্বাচন, গ্রাহকের অনুকূলে ঋণ প্রস্তাব, সুপারিশ, জামানতের মূল্যায়ন, ঋণ মঞ্জুর, ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম প্রভৃতি বিশেষ অডিটের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে দুদক। বিশেষ অডিটে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অথবা ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক অডিট, বাণিজ্যিক অডিট ও ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং এসব অডিটের কোনটিতে দুর্নীতি উদঘাটিত হলে তা তাৎক্ষণিক দুদককে অবহিত করার নীতি অনুসরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ রকম এক ডজন সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ নিয়মিত এই তথ্য দিতে নারাজ বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে শীঘ্রই দুদকসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বৈঠকে বসবে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে বিভিন্ন বিষয়ে দুদকের ঢালাও সুপারিশ ও তথ্য চাওয়ার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি দুদকের পাঠানো চিঠির সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে কোন ঋণ পুনর্তফসিল সুবিধা দেয়ার আগে ওই ঋণটি পর্যাপ্ত জামানত দ্বারা আবৃত কিনা, তা নিশ্চিত হতে হবে। ভুয়া জামানত (দলিল/রেকর্ডপত্রাদি) দিয়ে ঋণ গ্রহণ করা হলে, তা পুনর্তফসিলের জন্য বিবেচনা না করে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথ অডিট ক্যালেন্ডার প্রস্তুত এবং সে অনুযায়ী অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কিনা এবং মানসম্মত কিনা তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর এ দায়িত্ব ও কর্তব্য পরিচালনা পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত করা, সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকের ঝুঁকি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সমীক্ষা পরিচালনা করা এবং সমীক্ষার প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট ও মনিটরিং কার্যকর করা এবং অডিটে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়লে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। অন্যথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১৫ (খ) ধারা মোতাবেক যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং করা, ব্যত্যয় দেখা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সৎ, দক্ষ ও ব্যাংকিং বিষয়ে অভিজ্ঞদের মনোনীত করা। এর আগে গত অক্টোবরের শুরুতে পাঠানো আরেক চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকিং প্রবিধি লঙ্ঘন, সার্ভে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ গ্রহীতার জামানতের অতি মূল্যায়ন ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অপরাধে কুঋণ সৃষ্টি হচ্ছে। অসৎ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জালভুয়া রেকর্ডপত্র দাখিল, অপর্যাপ্ত আমানত ও জামানতবিহীন কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না গ্রহীতারা। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এ ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকে জমাকৃত জনগণের অর্থ ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় লোপাটের ব্যবস্থা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের মাধ্যমে হচ্ছে। এটা অপরাধজনক, বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল এবং দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশগুলো আমরা বিশেষ বিবেচনায় নিচ্ছি। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে শীঘ্রই দুদকসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আমরা বৈঠকে বসব। এজন্য আমরা পেপারও রেডি করছি। দুদক এ ধরনের প্রস্তাব দেয়ার এখতিয়ার রাখে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখতিয়ারের বিষয়টি ভিন্ন। তবে দেশের স্বার্থে যে কোন সংস্থা ইতিবাচক সুপারিশ করলে আমরা তা গ্রহণ করব। তবে দুদকের এখতিয়ারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, কোন বিষয়ে ঢালাও বা সন্দেহের ভিত্তিতে তথ্য চাওয়া ও সুপারিশ করার এখতিয়ার দুদকের নেই। ব্যাংক কোম্পানি আইন তো দূরের কথা, দুদকের আইনেও নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তথ্য চাইতে পারে দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, কোন গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য একটি গোপনীয় বিষয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কেউ ওই তথ্য জানতে পারে না। অপরাধের তদন্ত কাজে বা অন্য কোন বিশেষ ক্ষেত্রে কোন গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য প্রয়োজন হলে তা আদালতের আদেশক্রমে নেয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার কোন গ্রাহকের হিসাব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঢালাও বিভিন্ন সংস্থা গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেতে থাকলে ব্যাংকে অর্থ রাখার ক্ষেত্রে গ্রাহকের মধ্যে অনীহা দেখা দেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তার কাছে গ্রাহকের হয়রানির শিকার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য একটি গোপনীয় বিষয়। এটা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ করে। এই তথ্য কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকই নিতে পারে। কোন গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সেই সংস্থাকে দিতেও পারে। এ বিষয়ে আইন আছে। তা ছাড়া কোন সংস্থার প্রয়োজন হলে আদালতের রায় নিয়ে তারা নিজেরাও গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। তবে ঢালাওভাবে কোন সংস্থাকে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। কোন দেশেই এমন ঢালাওভাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ কোন সংস্থাকে দেয়া হয় না। তবে দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নথি দিতে গড়িমসি করে। অনেক সময় প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহও করে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে নথি হারিয়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ যোগাড় করা যায় না বলে আড়ালেই রয়ে যান মূল অভিযুক্তরা। নাম প্রকশে অনিচ্ছুক দুদকের উর্ধতন এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার কমিশনের আছে। আইনে এ অপরাধের জন্য তিন বছরের কারাদ- বা অর্থদ- বা উভয়দ-ের বিধান রয়েছে। দুদকের চিঠির জবাবে কোন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ না করলে কমিশন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত তথ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা তদন্তকারী সংস্থার প্রাধিকার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএফআইইউয়ের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যাংক কোন বিচারিক প্রক্রিয়ার পক্ষ নয় সেসব ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদন ব্যতীত ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য কোন কর্মকর্তাকে বাধ্য করা যাবে না মর্মে ব্যাংকার্স বুকস এভিডেন্স এ্যাক্ট-১৮৯১-এর ৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ওই আইনের ৬ নম্বর ধারায় আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে, যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি), ১৮৯৮-এর ৯৪ ধারায়ও উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বা এসব অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন- ২০০৯-এর যথাক্রমে ২৩(৭ক) এবং ১৫(৭) ধারায় উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া করসংক্রান্ত অপরাধ তদন্ত ও রাজস্ব আদায়ে ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত তথ্যে আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ১১৩ নম্বর ধারানুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাধিকার রয়েছে। এর আগে ২০০৫ সালেও একবার পুলিশের পক্ষ থেকে এমন ক্ষমতা চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিল। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(৭ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনে বর্ণিত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তে কোন তদন্তকারী সংস্থা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের হিসাবসংক্রান্ত দলিল ও তথ্যাদি উপযুক্ত আদালতের আদেশক্রমে অথবা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবে। আর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৫(৭) ধারায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক কোন ব্যাংকের দলিল বা কোন নথিতে নিম্নবর্ণিত শর্তে প্রবেশাধিকার থাকিবে, যথা : (ক) উপযুক্ত আদালত বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের আদেশক্রমে; অথবা (খ) বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে। এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বাধ্য করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তখনকার দুদক সচিব খোন্দকার মোঃ আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চিঠি লেখেন। তাতে তিনি স্বীকার করেন, ১৮৭২ এভিডেন্স এ্যাক্টের ৭৪ ধারায় প্রদত্ত ‘পাবলিক ডকুমেন্টস’র সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাবের আওতাভুক্ত নয় বিধায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে দুদককে দেয়া পাবলিক রেকর্ড তলব করার ক্ষমতার আওতায় ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করার বিষয়টি যথাযথ নয় বলে প্রতীয়মান । ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, যখন কোন আদালত বা কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার এই কার্যবিধি অনুসারে তদন্ত, ইনকোয়ারি, বিচার বা অন্য কোন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন দলিল বা কোন জিনিস প্রয়োজনীয় বা বাঞ্ছনীয় মনে করেন তখন ওই আদালত বা অফিসার সমন বা লিখিত আদেশ দ্বারা যে ব্যক্তির নিকট উক্ত দলিল বা বস্তু রহিয়াছে বলে অনুমিত হয়, তাকে সমন বা আদেশে লিখিত সময় ও স্থানে হাজির হতে ও উহা দাখিল করতে নির্দেশ দিতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোন অফিসার ১৮৯১ সালের ব্যাংকার বুক সাক্ষ্য আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী কোন ব্যাংকের বা ব্যাংকারের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল বা কোন বস্তু যাহা কোন ব্যক্তির ব্যাংকের হিসাব সম্পর্কে কোন তথ্য প্রদান করতে পারে, তা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ছাড়া দাখিল করার কোন আদেশ দেবেন না; যথা : (ক) দায়রা জজের লিখিতভাবে পূর্বানুমতি লইয়া দ-বিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪০৮ এবং ৪০৯ ধারা এবং ৪২১ হইতে ৪২৪ ধারা এবং ৪৬৫ হইতে ৪৭৭-ক ধারা অনুযায়ী কোন অপরাধের তদন্তের জন্য; এবং (খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্ব অনুমতি লইয়া।
×