ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যামিলটনে দ্বিমুখী পরীক্ষায় পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

হ্যামিলটনে দ্বিমুখী পরীক্ষায় পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের কাছে মাত্র সাড়ে তিনদিনেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার। টেস্টের অন্যতম শীর্ষ শক্তি পাকিস্তানের জন্য সত্যি বিব্রতকর। হ্যামিলটনে শুরু হতে যাওয়া (শুক্রবার ভোরে) দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটা সফরকারীদের জন্য ‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়ানোর লড়াই। তার ওপর এই ম্যাচে তারা পাচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক মিসবাহ-উল হককে। বছরে দুইবার সেøা-ওভার রেটের কারণে আইসিসি কর্তৃক এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, অবশ্য শ্বশুরের মৃত্যুতে দেশে ফিরে যাওয়ায় এমনিতেই তিনি এখানে খেলতে পারতেন না। ২০১০ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেয়ার পর মিসবাহকে ছাড়া মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামছে পাকিস্তান। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানও তিনি। এটা তাই অতিথিদের জন্য বাড়তি চাপ। মিসবাহর অনুপস্থিতিতে কঠিন পরীক্ষার এই টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলি। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ১৩৩ ও ১৭১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। একটা হাফ সেঞ্চুরিও নেই। ব্যাটিং ব্যর্থতাই তাদের ডুবিয়েছে। রান পাননি ইউনুস খান, আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদের মতো তারকা ব্যাটসম্যান। ধারণা করা হচ্ছে, হ্যামিলটনে মিসবাহর পরিবর্তে মোহাম্মদ রিজোয়ান বা শারজিল খানের মধ্য থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আজহার বলেন, ‘মিসবাহ অসাধারণ একজন ক্রিকেটার। বছরের পর বছর তিনি দায়িত্ব নিয়ে সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তার অনুপস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই পীড়াদায়ক। কিন্তু এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় কারও হাত নেই। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আশাকরি যারা খেলার সুযোগ পাবেন তারা নিজেদের সামর্থ্যরে সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবেন।’ এরপর অস্ট্রেলিয়া সফর, সুতরাং ‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়াতে না পারলে মানসিকভাবে পাকিস্তান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। অন্যদিকে চোখের সমস্যা (ছানিপড়া) সত্ত্বেও অভিজ্ঞ রস টেইলর এই ম্যাচে খেলবেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিউজিল্যান্ড ফিজিওথেরাপিস্ট। সিরিজ শেষেই অস্ত্রপচার করানো হবে। জিমি নিশামের পরিবর্তে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে স্পিন বোলিং-অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারত সফরে দল ৩-০তে সিরিজ হারলেও স্যান্টনার ব্যাটে-বলে ছিলেন দারুণ সফল। কব্জির ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি। তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ। কিউই জাতীয় নির্বাচক গেভিন লারসেন বলেন, ‘স্যান্টনারের ফেরাটা একরকম নিশ্চিতই ছিল। তার সঙ্গে টড এ্যাস্টল দলে থাকায় আমাদের সামনে সুযোগ রয়েছে দু’জন স্পিনারকে নিয়ে মাঠে নামার। স্যান্টনারের অলরাউন্ড দক্ষতা রয়েছে, ভারত সফরেও সে সেটি প্রমাণ করেছে।’ ভারতে ব্যর্থতার পর কিউইরা চাপে ছিল। প্রথম টেস্টে পাকিদের হারিয়ে কেন উইলিয়ামসনের দল এখন আত্মবিশ্বাসী। আত্মবিশ্বাসী হলেও সতর্ক কিউইরা। অধিনায়ক উইলিয়ামসন যেমন বলেন, ‘প্রথম টেস্টে তারা হয়তো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয়সেরা দল। তারা ভয়ঙ্কর। যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে। ক্রাইস্টচার্চ আর হ্যামিলটনের কন্ডিশনও এক নয়। এখানকার উইকেট অনেক বেশি স্পোর্টিং। প্রতিপক্ষ শিবিরে বিশ্বমানের পেসার এবং স্পিনার রয়েছেন।
×