ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুক ও নির্যাতন

সাত মাসেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

সাত মাসেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ সদর উপজেলার বড়বিলারপাড় পশ্চিমপাড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ শাম্মী আক্তার শিউলীকে মারপিটের মামলায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ গত সাত মাসেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগ, বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের নগদ ৫ লাখ টাকা এনে না দেয়ার জের ধরে স্বামী পরিবহন শ্রমিক মাসুম মিয়া, শ্বশুর আব্দুর রহমান ও শাশুড়ি আমেনা খাতুন মারধর করে বাড়ি থেকে শিশুপুত্রসহ বের করে দেয় শিউলীকে। এই ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শিউলী বাদী হয়ে চলতি সালের ৭ এপ্রিল কোতোয়ালি মডেল থানায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এর পর থেকে আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ শিউলীর। সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে শাম্মী আক্তার শিউলীকে পার্শ্ববর্তী বড়বিলারপাড় পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে পরিবহন শ্রমিক মাসুমের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। যশোরে রিয়েল এস্টেট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ টাকা আত্মসাতের মামলায় এহসান এস রিয়েল এস্টেটের ১১ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপর একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বুধবার আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলো মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মুফতি আলী আকবরের ছেলে এহসান এস রিয়েল এস্টেটের প্যানেল এমডি মাওলানা আতাউল্লাহ, মৃত মাওলানা রজব আলীর ছেলে এমডি মাওলানা জোনায়েত ও আইয়ুব আলী, আবালপুরের কাজী মহিউদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম, বারান্দীমাঠপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে লোকমান, চুড়িপট্টির আবুবক্কার সিদ্দিকের ছেলে ম্যানেজার লোকমান, শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলার ফতোয়া বোর্ডের সদস্য মুফতি জব্বার, সদর উপজেলার রাজারহাট এলাকার মৃত দলিল আহম্মেদের ছেলে প্যানেল এমডি মুফতি ইউনুছ আহম্মেদ, আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে আব্দুল হালিম, বাঘারপাড়ার ধন্যপাড়া গ্রামের আফছার উদ্দিনের ছেলে ম্যানেজার সামছুল হক টিটু ও ঢাকার টঙ্গী থানার আরিচপুরের আহম্মেদ আলী সরদারের ছেলে ডাইরেক্টর জেনারেল মুফতি আমিনুল। মামলার বিবরণে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে যশোরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল এহসান এস রিয়েল এস্টেট। এ কোম্পানিতে যশোরের বহু মানুষ আমানত রাখে। জনৈক জাকির হুজুর ও তার স্ত্রী যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী রহিমা খাতুনকে এহসান এস রিয়েল এস্টেটে টাকা আমানত রাখার পরামর্শ দেন। এরপর রহিমা খাতুন জমি বিক্রি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট ১০ লাখ টাকা ও ২০১৪ সালের ১ জুলাই সাড়ে তিন লাখ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখেন। বছর খানেক পর তিনি টাকা উত্তোলনের জন্য প্যানেল এমডি আতাউল্লাহর কাছে আবেদন করেন। রহিমা খাতুনকে প্যানেল এমডি আতাউল্লাহ জানিয়ে দেন কোন টাকা ফেরত দিতে পারবেন না। রাসিকের বর্ধিত ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ দাবি স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি ও সাইনবোর্ড ফি নীতিমালার ভিত্তিতে সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী নগরিক সমন্বয় কমিটি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপিও পেশ করা হয়েছে। বুধবার সকালে রাজশাহী নাগরিক সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান দায়িত্বে আছেন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র। তিনি সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের অপব্যাখ্যা দিয়ে, সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা ছাড়া এবং নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সাইনবোর্ড ফি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছেন, যা প্রদান করা রাজশাহীর সীমিত আয়ের নাগরিকরদের আর্থিক সক্ষমতার বাইরে। বিগত অর্থ বছরের ট্যাক্সের চেয়ে বর্তমান অর্থবছরের ট্যাক্সের পরিমাণ প্রায় ৫০০% থেকে ১০০০% বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে তারা অবিলম্বে নীতিমালার ভিত্তিতে সহনীয় পর্যায়ে ট্যাক্স নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় নাগরিক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক প্যানেলের সদস্য সামসুদ্দিন, ভাষাসৈনিক মোর্সারফ হোসেন আখুঞ্জি, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান স্থানীয় সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী, রাজশাহী নাগরিক সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী, বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাউফলে সেলাই শেখানোর নামে টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৩ নবেম্বর ॥ দরিদ্র নারীদের সল্পমূল্যে সেলাই মেশিন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার। এ নিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীরা পড়েছে বিপাকে। প্রতিষ্ঠানের কথিত সুপারভাইজার ও প্রশিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ। জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন এলাকায় মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে টেইলারিং কোর্সে ভর্তির আহ্বান জানায়। প্রশিক্ষণ শেষে নারীদের সল্পমূল্যে সেলাই মেশিন দেয়া হবেÑ প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা কালাইয়া হায়াতুনন্নেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য শ্রেণী কক্ষ ভাড়া নেয়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম বাবদ ৩০, রেজিস্ট্র্রেশন ফি বাবদ ২৫০, মেশিনারিজ বই বাবদ ১০০, ডিজাইন বই বাবদ ১০০ ও অন্যান্যসহ সর্বমোট ৫০০ থেকে ৫৫০টাকা আদায় করেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেয়া ২৫০ টাকা উল্লেখ করে ভর্তি কার্ড প্রশিক্ষণার্থীদের প্রদান করেছে। ভর্তি কার্ডে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার মিরপুরের রুপনগর ও শাখা অফিস গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং রেজিঃ নম্বর পিএফ-৭৬৮ উল্লেখ করা হয়েছে। বৃষ্টি দেবনাথ বলেন, ধার কর্য করে মেঘনা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ৫০০ টাকা জমা দেই। কিন্তু একদিন ক্লাস করার পর দ্বিতীয় দিন গিয়ে দেখি তারা কেউ নেই।
×