ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে বিএনপির চিঠি

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে বিএনপির চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার দেয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন ও সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন বঙ্গভবনে চিঠি পৌঁছে দেন। এর আগে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্র্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দেয়া ১৩ দফা প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করতে বিএনপি আবারও সময় চাইবে। এ জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে খর্ব করতে কোন প্রস্তাব দেয়া হয়নি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে সামরিক আইন নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের কোন বিকল্প নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাব ঘোষণার পরই রাষ্ট্রপতির কাছে তা পৌঁছে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে সময় চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি। তাই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ফের সময় চাইবে বিএনপি। দেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিএনপিকে সাক্ষাতের সময় দেবেন বলে প্রত্যাশা করছি। রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ১৩ দফা প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং সকল রাজনৈতিক দলসহ পেশাজীবীদের এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান। আমরা আলোচনা চাই। আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অবশ্যই একটি শক্তিশালী ইসি গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চেতনাগতভাবে আমাদের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাজকে সহায়তা করবে এবং রাষ্ট্রপতির ভাবমূর্তিকে বিতর্কের উর্ধে রাখবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অহেতুক কালক্ষেপণ না করে একগুয়েমি পরিত্যাগ করে জাতির মঙ্গলের জন্যে, একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গঠনের জন্য প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠন অনিবার্য। সে কারণেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য স্বাধীন নিরপেক্ষ, সাহসী নির্বাচন কমিশনের কোন বিকল্প নেই। এলক্ষ্যে খালেদা জিয়ার দেয়া ১৩ দফা প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্ত হয়ে টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তারেকই বিএনপির ভবিষ্যত নেতা- মোশাররফ ॥ খালেদা জিয়ার পরে তারেক রহমানই বিএনপি ভবিষ্যত নেতা নির্বাচিত করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ড. মোশাররফ বলেন, তারেক রহমান ওয়ান-ইলেভেন সরকারের ষড়যন্ত্রের স্বীকার। ওই সরকার দুই নেত্রীকে মাইনাস করার নামে বিএনপিকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির প্রধান কাজ হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র, জনগণের নিরাপত্তা ও অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আর জনগণ যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরি করা। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ। খালেদাকে বাইরে রেখে নির্বাচন দেবেন শেখ হাসিনা- গয়েশ্বর ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখেই যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন দেবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
×