ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার চরে কাঁকড়া চাষ

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ভোলার চরে কাঁকড়া চাষ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভোলার সাগরকূলের চরাঞ্চলগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর্থিকভাবে মাছের চেয়ে লাভবান হওয়ায় বাড়ছে খামার ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে কাঁকড়া শিকারের সংখ্যা। এ সময় নদ-নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে কাঁকড়া শিকারে ঝুঁকে পড়ছেন বেকার জেলেরা। তবে বিশেষজ্ঞরা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিকল্পিত উপায়ে শিকারের গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর কাঁকড়া চাষ বাড়াতে চাষীদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার কথা জানালেন মৎস্য বিভাগ। শীতের সময় ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে কাঁকড়া শিকার করেন জেলেরা। খাল বিলের পানি কমে যাওয়ায় নবেম্বর মাস থেকে সাগরকূলের ডুবোচর ও মনপুরা, ঢালচর, চর কুকরী-মুকরীসহ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলগুলোতে প্রতিদিন ৪ হাজার জেলে কাঁকড়া শিকার করেন। খাল-বিল থেকে ধরা এসব কাঁকড়া স্থানীয় বেপারিদের কাছে ৪শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হয়। দেশে-বিদেশে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চরফ্যাশন ও মনপুরায় ছোট বড় শতাধিক খামারে কাঁকড়া চাষ শুরু হয়েছে। লাভজনক ও সম্ভাবনাময় হওয়ায় সরকারী বেসরকারীভাবে কাঁকড়া চাষে এগিয়ে আসার দাবি কুকরী-মুকরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেন মহাজনের। তিনি বলেন, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বা বেসরকারীভাবে বড় খামারিরা উদ্যোগ নিয়ে এটিকে পরিচালিত করত তাহলে কাঁকড়া দেশের বাইরে রফতানি করে আরও বেশি বিদেশী মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম। আর পরিকল্পিতভাবে কাঁকড়া আহরণের দাবি জানিয়ে এ প্রাণীবিদ বলেন, বিদেশী মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কাঁকড়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশ, এমক্যাশ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে হুন্ডির শক্তিশালী নেটওয়ার্কের প্রভাবে কমছে প্রবাসী আয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার এক বৈঠকে বিকাশের মাধ্যমে হুন্ডি কার্যক্রমের যে অভিযোগ উঠেছে, তা বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিকাশ এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে বিকাশ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ রয়েছে, প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ই-মেইল অথবা এসএমএস-এর মাধ্যমে ডলার নিশ্চিত করলে বাংলাদেশে বিকাশ এজেন্টরা সেই ডলারে সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে দিচ্ছেন। এতে প্রবাসীদের কষ্টে অর্জিত রেমিটেন্স দেশে আসছে না।
×