ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিবিএ সভাপতি লালী ও মোশতাক

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ডিবিএ সভাপতি লালী ও মোশতাক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যদের সংগঠন ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি নির্বাচিত হলেন রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী। একই সঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট এ্যান্ড প্রোমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ সাদেক এবং সহ-সভাপতি হচ্ছে মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে নবনির্বাচিত ১৫ পরিচালকদের সর্বসম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে আর ভোট হয়নি। জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদী নতুন কমিটির প্রথম বছর ২০১৭ সাল পর্যন্ত আহমেদ রশিদ লালী ও দ্বিতীয় বছর ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোশতাক আহমেদ সাদেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দ্বিতীয় বছর সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মোঃ শহিদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন ও সহ-সভাপতি হিসেবে প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কমিটির নির্বাচিত বাকি পরিচালকরা হলেন- শাহেদ সিকিউরিটিজের শাহেদ আব্দুল খালেক, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সাজেদুল ইসলাম, ডিবিএল সিকিউরিটিজের মোঃ আলী, রাশটি সিকিউরিটিজের সৈয়দ রিদওয়ানুল ইসলাম, সাদ সিকিউরিটিজের মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গ্লোবাল সিকিউরিটিজের রিচার্ড ডি রোজারিও, কান্ট্রি স্টক বাংলাদেশ লিমিটেডের খাজা আসিফ আহমেদ, থিয়া সিকিউরিটিজের মাহবুবুর রহমান, রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজের আব্দুল হক ও ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজের ওয়ালি উল ইসলাম। এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ১৯ প্রার্থীর প্রতিযোগিতায় ১৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ২৪১ জন ভোটারের মধ্যে ২১৬ জন ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে ৬টি ভোট বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম। তিনি ২০৪টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জয়ীদের মধ্যে শরীফ আনোয়ার হোসেন ২০৩টি, রিচার্ড ডি রোজারিও ১৯৭টি, খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন ১৯০টি, মোঃ সাজেদুল ইসলাম ১৯০টি, সৈয়দ রেদওয়ানুল ইসলাম ১৮৮টি, মাহবুবর রহমান ১৮৪টি, মোহাম্মদ আলী ১৮৪টি, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ১৮৩টি, ওয়াল্লিউল ইসলাম ১৭৬টি, খাজা আসিফ আহমেদ ১৭৪টি, মোশতাক আহমেদ সাদেক ১৭৩টি, সাহেদ আব্দুল খালেক ১৬৯টি, আহমদ রশিদ লালী ১৪২টি ও আব্দুল হক ১৩৮টি ভোট পেয়েছেন। এ নির্বাচনে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হারুন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন- মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল উদ্দিন ও এম এ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ।
×