ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গা মুসলিম ও সুচির আলো -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গা মুসলিম ও সুচির আলো -স্বদেশ রায়

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সে দেশের ক্ষুদ্র এথনিক গ্রুপ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যা চলছে তাকে এথনিক ক্লিনজিংই বলা চলে। কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার জন্য সাধারণত এ ধরনের পথ নেয়া হয়। রোহিঙ্গা এথনিক গ্রুপটির ওপর এ হত্যা, নির্যাতন ও রেপ চলছে কয়েক দশক ধরে। যার ফলে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বৈধ ও অবৈধ শরণার্থী হিসেবে আছে বাংলাদেশে। তাদের সমস্যার সমাধান গত চার দশক ধরেও হচ্ছে না। বাংলাদেশ দরিদ্র ও জনঘনত্বপূর্ণ দেশ। তদুপরি রোহিঙ্গারা এখানে শুধু আছে তা নয়, তাদের একটি অংশ বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে মূলত কিছু এনজিওর প্রভাবে। সব মিলে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে এক গভীর সমস্যায়। অন্যদিকে যে ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা মিয়ানমারে আছে তাদের করুণ দশা বর্ণনার নয়। তাদের অবস্থার একটু সামান্য অথচ গভীর বর্ণনা পাওয়া ইম্মা লারকিনের ফাইন্ডিং জর্জ ওরিয়েল ইন বার্মা বইয়ে। তাও এসেছে প্রসঙ্গ ক্রমে। যা হোক, কোমল ও কবি মনের এই সাংবাদিক তাঁর গভীর চোখে বার্মাকে দেখেছেন। দেখেছেন বার্মার সমস্যাকে। তাছাড়া কোন জেন্ডার বায়াস হয়ে নয়, কেন যেন মনে হয় মেয়েদের চোখ সব সময়ই অনেক বেশি গভীরে যেতে পারে। যেমন মা সন্তানকে যত বেশি চেনে বাবার জন্য অতটা চিনতে গেলে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হয়। যা হোক, ফাইন্ডিং জর্জ ওরিয়েল ইন বার্মা বইয়ে সব থেকে ভয়াবহ যে দিকটি আছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে- তা হলো, বার্মার সেনাবাহিনীকে এক অলিখিত নির্দেশ দেয়া আছে তারা যত খুশি রোহিঙ্গা মেয়েদের রেপ করতে পারবে। যেমনটি নির্দেশ ছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মিদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য এথনিক গ্রুপ বদলে ফেলা। অর্থাৎ যারা রেপ করছে তারা ভিন্ন এথনিক গ্রুপেরÑ তাদের ক্রমোজমে বদলে যাবে এথনিক গ্রুপ। এর থেকে বোঝা যায়, রোহিঙ্গাদের ওখানে যত ভাবে পারা যায় সব পথে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি ও ব্যাঙ্কক পোস্ট, ন্যাশান প্রভৃতি সংবাদ মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ওপর বড় বড় ফিচার প্রকাশ ও প্রচার হয়। ওই সব ফিচার সকলেই পড়েছেন ও দেখেছেন। তারা জানেন, আরাকানের রাজধানীতে ক্যাম্পে বা নিজ কুটিরে কীভাবে রোহিঙ্গারা আছেন। ঘরে অসুস্থ স্বামী তারপরেও বাসে চড়ে ওষুধ কিনতে যেতে সাহস পায় না রোহিঙ্গা মহিলারা। কখনও কখনও জীবনের সকল রিস্ক নিয়ে তারা বের হয়। কাজের জন্যও তারা বের হতে পারে না। দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে। অন্যদিকে বিবিসি, ব্যাঙ্কক পোস্ট ও সিএনএনের নিউজ অনুযায়ী ২০১২ সালে প্রায় এক লাখ দশ হাজার রোহিঙ্গা সমুদ্র পথে থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়ার পথে পাড়ি দিয়েছে। এদের কত ভাগ বেঁচে আছে তা কিন্তু কেউ জানে না। কারণ, এরা মূলত গিয়েছে মানবপাচারকারীদের একটি বড় চক্রের শিকার হয়ে। বেশি ক্ষেত্রে এদের হত্যা করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হয়েছে। এটা বিশাল ব্যবসা। এর সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনও জড়িত। থাইল্যান্ডে যে জেনারেল এই মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনায় নেমে ছিলেন তাঁর সর্বশেষ অবস্থা জেনেছি অস্ট্রেলিয়ান একটি নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে। জেনেছি তিনি অস্ট্রেলিয়ায় এ্যাসাইলাম নিয়েছেন। অর্থাৎ হেরে গেছেন তিনি এই মানবপাচারকারী চক্রের কাছে। তাই নিজের জীবন বাঁচাতে জেনারেলকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ভিন্ন দেশে। কিন্তু এর পরেও রোহিঙ্গারা বেঁচে থাকার আশায় এই সমুদ্র পথ ধরে অজানা ভবিষ্যতের দিকে যায়। যে কারণে আলজাজিরা ও সিএনএন (এই দুটি সংবাদ মাধ্যম খুব বিশ্বাস যোগ্য নয়, তবে বিবিসিও এমনটি বলছে তাই পরিসংখ্যানটি এখানে উল্লেখ করলাম) এর হিসাব মতে ২০১৫-এর প্রথম কোয়ার্টারে ২৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা সমুদ্র পথে মিয়ানমার ছেড়েছে। তবে বিশ্ববাসীর আশা ছিল ৫৮ বছর পরে মিয়ানমারে সামরিক সরকারের বেশি অংশ অবলুপ্ত হয়ে নির্বাচনের ভেতর দিয়ে সুচির নেতৃত্বে যে পার্টি গভর্নমেন্ট এসেছে ওই সরকার রোহিঙ্গাসহ সকল এথনিক গ্রুপের সমস্যার সমাধান করবেন। মিয়ানমারের এথনিক গ্রুপ সমস্যাটি বড় জটিল। ছোট-বড় মিলে সেখানে ১৩৫টি এথনিক গ্রুপ। এর ভেতর সাতটি বড়। এই সাতটিকে নিয়ে সাতটি প্রদেশ সৃষ্টি করেন সুচির পিতা অর্থাৎ মিয়ানমারের (তৎকালীন বার্মার) ফাউন্ডিং ফাদার। তাছাড়া বেশ কিছু নিয়মের ভেতর আনার কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি এ কাজটি শেষ করতে পারেননি। তার আগেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। আবার এই ১৩৫টির বাইরে কিন্তু রোহিঙ্গারা। তাদের মোট সংখ্যা ২০ লাখ বর্তমানে। তার ভেতর পাঁচ লাখ বাংলাদেশে বৈধ ও অবৈধভাবে শরণার্থী হিসাবে অবস্থান করছে। বাকিরা মূলত বৈধ ও অবৈধতার মাঝখানেই মিয়ানমারে বাস করছে। যেমন যে নির্বাচনে সুচি ক্ষমতায় এসেছেন এই নির্বাচনে কিন্তু ১৫ রোহিঙ্গা প্রার্থীকে নির্বাচন করতে দেয়া হয়নি। সাত লাখ রোহিঙ্গা সাদা কার্ড অর্থাৎ ভোট দেয়ার অনুমতি পায়নি। শুধু তাই নয়, তার পরেও সুচির এনএলডিতে কোন মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এমনি প্রতিনিধি নেই ১৩৫টির ভেতর বড় সাতটির বাইরে আরও অনেক ছোট এথনিক গ্রুপের। তাদের প্রতিনিধি না থাকা সত্ত্বেও কিন্তু তারা আস্থা রেখেছে সুচির ওপর। যে কারণে সুচি নির্বাচিত হলে কারেন এথনিক গ্রুপের বিদ্রোহীরা এক পক্ষীয়ভাবে অস্ত্র বিরতির ঘোষণা দেয়। ব্যাঙ্কক পোস্টের সংবাদ অনুযায়ী, তাদের নেতা বলেন, তারা আশা করেন সুচি তাদের সমস্যার সমাধান করবেন। রোহিঙ্গাদের অমন কোন বিবৃতি পায়নি। কিন্তু তার পরেও গোটা পৃথিবী আশা করে এ সমস্যারও সমাধান হবে। ঐতিহাসিক সত্য হলো ৯শ’ খ্রিস্টাব্দ থেকে রোহিঙ্গারা ওখানে বাস করছে। অর্থাৎ তারা আরকান রাজ্যেরই বাসিন্দা। তাই তাদের সমস্যা তাদের সেখানে বাস করতে দিয়েই সমাধান করতে হবে। সুচিও তাই মনে করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সব সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন, বাস্তবে দীর্ঘস্থায়ী এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সকলকে একটা কম্প্রোমাইজ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। সুচি এও বলেছেন, বাস্তবে আমরা অনেক সমস্যার ভিতর। তবে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বেশি আসছে। সুচি যে অনেক সমস্যায় এনিয়ে দ্বিমতের কোন কারণ নেই। সামরিক শাসনোত্তর দেশে এটাই স্বাভাবিক। যা হোক, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা যা লিখেছে বা যেসব বন্ধুবান্ধব, সাংবাদিক ও গবেষক মিয়ানমারের এই পরিবর্তনের পরে সেখানে গিয়েছেন, তাদের মাধ্যমে জানতে পারি, সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভেতর এই ধরনের একটি মানসিকতা আছে। তারা চায় একটা কম্প্রোমাইজ করে তাদের নিজ ভিটায় বাস করার অধিকার ও চিরস্থায়ী সমাধান পেতে। সঙ্গে সঙ্গে চায় মিয়ানমারের নাগরিকত্ব। কিন্তু সাধারণ এই মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে মূলত পাকিস্তানী পৃষ্ঠপোষকতার একটি জঙ্গী গোষ্ঠী আক মুল মুজাহিদীন। যার নেতা হাবিজ তোহার। এই হাবিজ পাকিস্তানে প্রশিক্ষিণপ্রাপ্ত। সে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সেখানে জিহাদ কায়েম করতে চায়। আর সেই জিহাদের অংশ হিসেবে গত অক্টোবরের ৯ তারিখ তারা মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় যাতে নয়জন পুলিশ ও চারজন সেনাসদস্য নিহত হয়। এর পরের থেকেই কিন্তু এই ঘটনার পর্যায়ক্রম শুরু। মূলত এই এলাকা নয়- যে কোন দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে একটি ক্যান্সার তা কিন্তু এই ঘটনায়ও প্রমাণ করে। বর্তমানে যে শত শত নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিম মারা যাচ্ছে; ধর্ষিত হচ্ছে যত মা-বোন তার মূলেও কিন্তু এই পাকিস্তান নামক ক্যান্সারটি। এই ক্যান্সারটি যতক্ষণ না পৃথিবী থেকে নির্মূল করা হবে ততক্ষণ পৃথিবীর কোন দেশের মুসলিমরা শান্তিতে থাকতে পারবে না। এটাই কিন্তু ভবিতব্য। যা হোক, এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন আসবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে জঙ্গীরা পুলিশ ও আর্মির ওপর আক্রমণ করেছে এর বিপরীতে তো কোথায় জঙ্গী আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদেরই শাস্তি দেয়া হবে। এই গণহত্যা কেন? বাস্তবে আমরা সাধারণভাবে জানি যে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র এসেছে। কিন্তু সে গণতন্ত্রের বাস্তবতা ও সুচির ক্ষমতার সবটুকু হয়ত আমরা সকলে জানি না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যেমন ২৫ ভাগ অংশীদারিত্ব পার্লামেন্টে আছে তেমনি ওই দেশের সিকিউরিটির অথরিটি কিন্তু সেনাবাহিনীর- সিভিল সরকারের নয়। তাই রাখাইন প্রদেশে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর যা ঘটছে এর জন্য সে দেশের সেনাবাহিনী দায়ী- সুচি নয়। যারা সুচির নোবেল ফিরিয়ে নেয়ার দাবি করছেন তারাও কেন এ বাস্তবতা দেখছেন না? এখন প্রশ্ন আসতে পারে সুচি কেন নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরেও এগুলো মেনে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলেন? এ প্রশ্নের উত্তর থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি সামরিক শাসনকবলিত দেশগুলোর রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই পাওয়া যায়। তাছাড়া এ কলামে বার বার লিখি ‘সামরিক কালচার’ কথাটি। দীর্ঘদিন সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে সমাজে ও প্রশাসনে রাজনৈতিক কালচারের জায়গাটি দখল করে সামরিক কালচার; একে ওভার নাইট উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর জন্য সময় লাগে। ৩২ বছর সামরিক শাসনের পরে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী গণতন্ত্র আসার পরেও আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় বছর পরে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে তাদের স্টেক তুলে নেয়। কিন্তু তারপরেও দেশের সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র এখনও কি পেরেছে সামরিক কালচার মুক্ত হতে? থাইল্যান্ড বার বার হোঁচট খাচ্ছে সামরিক জেনারেলকে সাজা দেয়ার পরেও। ফিরে আসছে সেখানে সামরিক শাসন। তাই একবার সামরিক শাসনকে উপড়ে ফেললে আর যাতে ফিরে না আসে এ জন্য অত্যন্ত ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হয় যা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা করছেন। ২৬ বছরের সামরিক শাসন তিনি দূর করেছেন কিন্তু এই কালচার দূর করতে তিনি যেভাবে পথ চলছেন তা বিশ্লেষণ করাও উচিত নয় ভবিষ্যত গণতান্ত্রিক পথে চলার স্বার্থে। এই অভিজ্ঞ শেখ হাসিনাই সুচিকে বলেছিলেন, তোমাকে আস্তে যেতে হবে তুমি ওভারনাইট সব কিছু পাবে না। সুচিও সেই পথ ধরেছেন। পার্লামেন্টে তাঁর নিরঙ্কুশ মেজরটি আছে। তিনি সহজে সে দেশের সংবিধানের ৫৯ (এফ) সাসপেন্ড করে প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি হননি। হলে হয়ত থাইল্যান্ডের পুনরাবৃত্তি হতো মিয়ানমারে। নিভে যেত সুচির আলো। আর সুচির আলো নিভে গেলে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত একেবারেই অন্ধকার। তাই এখন আন্তর্জাতিক ফোরাম ও বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর দায়িত্ব সুচিকে তিরস্কার করা নয়, কীভাবে তিনি শক্তিশালী হয়ে মিয়ানমারে এমন গণতন্ত্র আনতে পারেন যাতে কেউ আর রাষ্ট্র দ্বারা নির্যাতিত হবে না, বহিষ্কৃত হবে না সে কাজ করতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক অঙ্গটি ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দিতে বলেছে। এমন মস্তিষ্ক নিয়ে যদি জাতিসংঘ চলে তাহলে তো পৃথিবীর কপালে দুর্ভাগ্য আছে। মিয়ানমারের সমস্যা মিয়ানমারেই জাতিসংঘকে সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে সেখানে পিস কিপিং বাহিনী যাবে তাই বলে অন্য দেশের সীমান্ত খোলা কেন? এই উদ্ভট চিন্তুা যে সব মস্তিষ্ক দিয়ে আসে তাদের বেতন দিয়ে না পোষাই ভাল- কারণ এ বেতন গোটা পৃথিবীকে যোগাতে হয়। [email protected]
×