বিডিনিউজ ॥ খালেদা জিয়া চাইলেও নির্বাচন ঘিরে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার পক্ষে নন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম পরামর্শক এমাজউদ্দীন আহমদ।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মতৈক্যের কথা বলে খালেদা জিয়ার জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাওয়ায়ও আপত্তি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। টেলিভিশন স্টেশন এটিএন নিউজের একটি টক শোতে ‘যদি বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে আসতে চায় তাহলে জামায়াতকে পরিত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন কি না’ প্রশ্নের মুখোমুখি হন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ‘শত নাগরিক কমিটি’র প্রধান এমাজউদ্দীন।
জবাবে তিনি বলেন, ‘ইয়েস, মনে করি...এবং এটা আমি স্পষ্টভাবে বলেছিও। সমাজ হিসেবে বাংলাদেশের বয়স হলো প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার বছর। আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের বয়স এখনও ৫০ বছর পূরণ হয়নি। এই দীর্ঘকালীন পরিসরে সব থেকে বড় অর্জন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধে যারা বাধা দিয়েছে, আই হেইট টু কিপ দেম বিসাইড মি- সোজা কথা।’
টকশোতে এই প্রসঙ্গ এলে অপর আলোচক ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের নেতা এমাজউদ্দীন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীকে বেসামরিক প্রশাসনে যুক্ত করার যৌক্তিকতা নেই।’