ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা সেতু

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন মাওয়ায় আসছে আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৬

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন মাওয়ায় আসছে আজ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর জন্য উচ্চ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন আজ বুধবার মাওয়ায় এসে পৌঁছবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্রেনটি শরীয়তপুরের সুরেশ্বর অবস্থান করে। রাতে নদীপথে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা থাকায় জাহাজ চলতে না পারায় এটি ওখানেই নোঙ্গর করে। বুধবার সকালে এটি রওনা হবে। দুপুর নাগাদ মাওয়ায় পৌঁছার কথা রয়েছে। এত বড় ভাসমান ক্রেনটি মাওয়ায় নেয়ার মতো নৌযান না পাওয়ায় চট্টগ্রাম পোর্টের বিশেষ দু’টি টাগবোট এটিকে টেনে নিয়ে আসছে। রবিবার সকালে কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে এটি মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এর আগে শুক্রবার রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে অবস্থান নেয় চীন থেকে সমুদ্রপথে মাদার ভেসেলে করে আসা এই ক্রেন। পরে শনিবার দুপুরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে কাস্টম ক্লিলিয়ারেন্স প্রক্রিয়া শুরু হয়। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ক্রেনটি পদ্মা সেতুর সুপার স্ট্রাকচার স্থাপনের কাজ করবে। ৩ হাজার ৬শ’ টন ক্ষমতার এই ক্রেন পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। গত ১২ অক্টোবর চীনের জোহাও থেকে মাদার ভেসেলে করে ভাসমান এই ক্রেন রওনা হয় বাংলাদেশের উদ্দেশে। পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান (১৫০ মিটার দীর্ঘ সুপার স্ট্রাকচার) সরাসরি পিলারে বসাতে হবে। একেকটি স্প্যানের ওজন প্রায় ২ হাজার ৯শ’ টন। আর চীন থেকে আসা ভাসমান ক্রেনের ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ৬শ’ টন। বাংলাদেশে ভাসমান ক্রেন হিসেবে কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও নির্ভীকের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪শ’ টন করে। আর চীনা এই ক্রেনের ক্ষমতা আড়াই গুণেরও বেশি। এই ভারি যন্ত্রটি এখন নিয়ে আসায় সুপার স্ট্রাকচার স্থাপনের সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন হলো। এখন জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের কাজ চলছে পুরোদমে। এছাড়া জাজিরা প্রান্তে ভয়াযাক্টের কাজও চলছে পুরোদমে। এ পর্যন্ত সংযোগ সেতুর ১৮টি পাইল স্থাপন হয়েছে।
×