ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই ফোরজি চালু করা হবে

প্রকাশিত: ০২:১৯, ২২ নভেম্বর ২০১৬

শীঘ্রই ফোরজি চালু করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীঘ্রই চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা (ফোরজি) চালু করা হবে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, দেশে প্রতি ছয়জনের পাঁচজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। পৃথিবীতে এমন উদাহরণ বিরল। আমরা অতি শিগগিরই ফোরজি চালু করবো। ভোক্তারা তখন আরও ভালো সেবা পাবেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত গণশুনানির শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার মান নিয়ে সরাসরি ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে এবারই প্রথমবারের মতো এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়। বিটিআরসি’র পক্ষে জানানো হয়, শুনানিতে অংশ নিতে এক হাজার আবেদনের মধ্য থেকে প্রায় পাঁচশ’ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ভোক্তাদের ভালো সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রাণান্তকর কাজ করে যাচ্ছি। আগামী বছরের শুরুতে এমএনপি চালু করবো। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে অপরাধের সংখ্যা ভীষণভাবে কমে গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকেও আমাদের এমনটা জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, টেলিফোন অ্যাক্ট ৮৭ এর ক ধারায় বলা হয়েছে, মাঝে মধ্যে শুনানি করতে হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর গণশুনানির আয়োজন করে মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সেবা প্রদান করবো। গণশুনানিতে মোবাইল সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া হয়। এসময় ভোক্তারা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এই গণশুনানিতে মোবাইল ফোনের কলড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ (ভয়েস, ডাটা, বান্ডল) এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেটিক্র সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে জনসাধারণ/ গ্রাহকের অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হয়। এতে বিটিআরসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত পদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত ওই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। ওই গণশুনানিতে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ও ভোক্তা সংঘের প্রতিনিধি, আইনজীবী, শিক্ষক, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীসহ নিবন্ধনকৃত গ্রহকেরা অংশ নেয়।
×