ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজীবন গানের মধ্যে থাকতে চাই ॥ পাপিয়া সারোয়ার

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২২ নভেম্বর ২০১৬

আজীবন গানের মধ্যে থাকতে চাই ॥ পাপিয়া সারোয়ার

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। সঙ্গীত সাধনাই যার জীবনের ব্রত। নিরলস চেষ্টা ও অদম্য ইচ্ছাকে আকড়ে ধরে যিনি এখনও সঙ্গীত সাধনা করে চলেছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অমিয় ধারায় নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার সঙ্গীতলব্ধ জ্ঞান। শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন গুণী এই শিল্পী। জাতীয় জাদুঘরে সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত নয়নমণি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আজ তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হবে। কথা হয় তার সঙ্গে। শুভেচ্ছা সাংস্কৃতিক ফোরাম আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন কেমন লাগছে? পাপিয়া সারোয়ার : কোন সম্মাননা পাওয়ার জন্য তো শিল্পচর্চা নয়। তবে ভাল কাজের স্বীকৃতি সব সময়ই ভাল লাগে। দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে গানের জগতে আছি, কখনও মনে করিনি আমাকে সম্মাননা পেতে হবে। আমি গানের মানুষ, আজীবন গানের মধ্যে থাকতে চাই। আপনার জন্মদিন কিভাবে কাটল? পাপিয়া সারোয়ার : বরাবরের মতো ঘরোয়াভাবেই সোমবার আমার জন্মদিন উদ্যাপন হলো। আমার সংগঠন গীতসুধার ছাত্র-ছাত্রীরা ওদের মতো করে আনন্দ করল। গান গাওয়ার মধ্যে সময়টা কেটে গেল। আমার এক বছরের নাতনী ইলানা সারোয়ার আজিজের সঙ্গে অনেক মজা করলাম। ওরা ক্যানাডায় থাকে। সম্প্রতি এসেছে। এবারের জন্মদিনে তাকে নিয়ে বাড়তি এক আনন্দ অনুভব করলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন কতটা সময়োপযোগী? পাপিয়া সারোয়ার : সব অবস্থায়ই রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন ধরা যায় রবীন্দ্রনাথের ‘দিকে দিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস, শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস’ বর্তমান সময়ে এটা বেশি প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’ গানটির মূল তাৎপর্য হলো হে প্রভু তুমি আমাকে শান্ত করে দাও। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথকে আরও সুগম করে তোলে। তার গান আমাদের শান্তি দিতে পারে। শুধু গান নয়, তার কবিতা ও বিভিন্ন লেখা সব সময়ই আমাদের পথ চলার সাথী। আপনার নতুন গানের এ্যালবামের উপস্থিতি কম কেন? পাপিয়া সারোয়ার : জি সিরিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণা থেকে প্রকাশ হয়েছে ‘চোখের দেখা প্রাণের কথা’ শিরোনামে আমার একটি এ্যালবাম। এতে আমার মেয়ে জিশাও কণ্ঠ দিয়েছে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়েছিল আমার একক এ্যালবাম ‘আকাশ পাণে হাত বাড়ালেম’ ও ‘পূর্ণ চাঁদের মায়ায়’। আমি কিন্তু একেবারে থেমে নেই। মাঝে মধ্যে এ্যালবামের কাজ করছি। আপনার মতে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা কেমন গাইছেন? পাপিয়া সারোয়ার : অনেকই খুব ট্যালেন্ট এবং তারা মূলধারার গানই করছেন। তবে খুব কমসংখ্যক আছেন যারা এই ধারা থেকে সরে যাচ্ছেন। তাছাড়া বেশিভাগ শিল্পীরা খুব ভাল গান করছেন এবং তারা অনেক শিক্ষিত। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলুন। পাপিয়া সারোয়ার : নতুন কোন পরিকল্পনা নয়। শুদ্ধভাবে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখতে পারে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গৌতম পাণ্ডে
×