ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজার বেশেই মৌসুম শেষ মারের

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২২ নভেম্বর ২০১৬

রাজার বেশেই মৌসুম শেষ মারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নোভাক জোকোভিচকে হটিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেছিলেন এ্যান্ডি মারে। তবে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করতে হলে ডব্লিউটিএ ট্যুর ফাইনালসের শিরোপা জিততে হবে ব্রিটিশ তারকাকে। রবিবার সেই কাজটাও করে ফেললেন মারে। প্রথমবারের মতো এটিপি ট্যুর ফাইনালস জয়ের পাশাপাশি বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকেই মৌসুম শেষ করলেন ২৯ বছর বয়সী এ্যান্ডি মারে। লন্ডনের ওটু এ্যারিনায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে মারে এদিন ৬-৩ এবং ৬-৪ গেমে সরাসরি সেটে হারান জোকোভিচকে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই জোকোভিচকে টপকে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি দখল করেছিলেন মারে। তবে দীর্ঘ ১২২ সপ্তাহের হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে সার্বিয়ান তারকার ট্যুর ফাইনালসে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা জরুরী হয়ে পড়ে। দারুণভাবে শুরু করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে আশাও জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মারে অবশ্য তা আর হতে দিলেন না। বরং প্রথমবারের মতো ঐতিহ্যবাহী ট্যুর ফাইনালসের শিরোপা জিতে বছর শেষের র‌্যাঙ্কিংয়েও নিজেকে শীর্ষেই ধরে রাখলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে এটিপি র‌্যাঙ্কিং প্রথা চালু হওয়ার পর ১৭তম খেলোয়াড় হিসেবে এক নাম্বারে থেকে বছর শেষ করলেন মারে। ২০০৩ সালে এ্যান্ডি রডিকের পরে নোভাক জোকোভিচ, রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের বাইরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই শিরোপা জিতলেন স্কটিশ তারকা মারে। লন্ডনের ওটু এ্যারিনাতে হাই ভোল্টেজ ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করতে এদিন উপস্থিত ছিলেন জুড ল, কেভিন স্পেসি ও উডি হারেলসনের মতো তারকা অভিনেতারা। ফাইনালের জন্য বরাদ্দ ১৭ হাজার টিকেট নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায়। স্বাগতিক তারকাকে সমর্থন দিতে এদিন যেন কোন কার্পণ্যই করেননি বৃটিশ সমর্থকরা। তার মান রেখেছেন মারেও। দারুণ এক ফাইনাল জিতে দারুণ উচ্ছ্বাসিত মারে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই শিরোপা জিততে পেরে আমি দারুণ খুশি। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হওয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। যা আমি কখনই প্রত্যাশা করিনি। এর আগেও আমরা গ্র্যান্ডসøামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচে নোভাক জোকোভিচকে হারানোর অনুভূতিটা সত্যিই একটু ভিন্নরকমের।’মারের প্রশংসা করেছেন জোকোভিচও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ম্যাচের শেষেরদিকে আমি ভাল খেলেছি। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। এ্যান্ডি অবশ্যই বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়।
×