ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এএইচএফ কাপ হকি, এবার চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ৪-২ জয়

বাংলাদেশের জয়রথ চলছেই

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২২ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের জয়রথ চলছেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এএইচএফ’ কাপ হকি প্রতিযোগিতায় শুভসূচনা করা ‘এ’ গ্রুপের টপ ফেভারিট বাংলাদেশের সামনে সোমবার ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে। হংকংয়ের কিংস পার্ক হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ কুড়িয়ে নিয়েছে প্রত্যাশিত জয়ই। তারা জিতেছে ৪-২ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধে লাল-সবুজরা এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে। নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে স্বাগতিক হংকংকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল। এই দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিতই হয়ে গেল তাদের। বুধবার শেষ গ্রুপ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে ম্যাকাওয়ের। ২ ম্যাচে এটা বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে গ্রুপের শীর্ষে। সমান ম্যাচে এটা চাইনিজ তাইপের প্রথম হার। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের স্থান বাংলাদেশের পরেই। সোমবারের খেলায় ম্যাচের ১৭ মিনিটে ফিল্ড গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। গোল করেন রোমান সরকার (১-০)। এর সাত মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। পেনাল্টি কর্নার ((পিসি) থেকে গোল করেন আশরাফুল ইসলাম (২-০)। ২৯ মিনিটে দলনায়ক-ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি আরেকটি ফিল্ড গোল করলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩-০তে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে চাইনিজ তাইপে। ৪১ মিনিটে লু সুং তিং একটি ফিল্ড গোল এবং ৪৮ মিনিটে সেং সিয়েন য়ি পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করলে ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-৩এ। ফলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। যখনই মনে হচ্ছিল এই বুঝি আরেকটি গোল হজম করতে যাচ্ছে তারা, তখনই ৫২ মিনিটে আশার প্রদীপ জ্বালান পিসি স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন। পিসি থেকে দক্ষতার সঙ্গে গোল করে আরেকটু এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে (৪-২)। শেষ পর্যন্ত বাকি সময়টায় আর কোন গোল শোধ করতে পারেনি তাইপে। ফলে স্বস্তিমাখা জয় নিয়েই টার্ফ ছাড়ে জিমিবাহিনী। চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভালই। নিকট অতীতে তাইপের কাছে হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে এশিয়া কাপে সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চাইনিজ তাইপেকে ১১-৩ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন ৪টি, পুস্কর ক্ষিসা মিমো ৩টি এবং মাইনুল ইসলাম কৌশিক ও রাসেল মাহমুদ জিমি ২টি করে গোল করেছিলেন। দু’মাস আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ অনুর্ধ-১৮ টুর্নামেন্টে চাইনিজ তাইপেকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশের তরুণরা। এশিয়া কাপ হকির মূলপর্বের টিকেট পাওয়ার লক্ষ্যেই এ টুর্নামেন্ট খেলতে গেছে বাংলাদেশ। সেরা হতে পারলে এশিয়ান হকির শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খেলতে পারবেন জিমিরা। বাছাইপর্বের এ আসরে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভাল। ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সবশেষ ২০১২ সালেও শিরোপার স্বাদ পায় তারা। এবারও নিজেদের গ্রুপে ফেভারিট হিসেবে খেলছে অলিভার কার্টজের দল। এ আসরে অংশ নেয়া উপলক্ষে বাংলাদেশ হকি দল জার্মানিতে একমাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে। সে সময় পোল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ৮টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ (ড্র ৫, হার ৩ ম্যাচে)। তারপর দেশে ফিরে সাভারের বিকেএসপিতে কয়েকদিন অনুশীলনের পর বুধবার রাতে হংকংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে হকি দল।
×