ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেবার মান তেমন বাড়েনি

সরকারী হাসপাতালের অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২২ নভেম্বর ২০১৬

সরকারী হাসপাতালের অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাচ্ছে না

নিখিল মানখিন ॥ সরকারী হাসপাতালগুলোর অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না সরকার। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সিন্ডিকেট সদস্যদের পরিকল্পনায় চলে সরকারী হাসপাতাল। অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাসমূহ। বর্তমান সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ, জনবল ও চিকিৎসা উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ, মজবুত অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও সরকারী হাসপাতালগুলোর সেবার মান তেমন বাড়েনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার পরিবর্তন হলে সিন্ডিকেট সদস্যদের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, কিন্তু পুরনো স্টাইলেই চলে সব অপকর্ম। রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রাজধানীর প্রায় সব হাসপাতালে পাওয়া গেছে। নিজ স্টাইলে চলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে তাদের প্রবেশ ও বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কেউ বলতে পারেন না। সিট বাণিজ্য ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে ব্যস্ত থাকেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের মাধ্যমেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারী ওষুধসমূহ বাইরে পাচার হয়ে থাকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিনামূল্যের চিকিৎসায় ফি দিতে হয় সরকারী হাসপাতালে। জরুরী বিভাগ থেকে রোগীশয্যা পর্যন্ত পৌঁছার চিকিৎসা ব্যয় (ট্রলিম্যান ও শয্যা যোগানদাতা) লিখিত থাকে না। শয্যায় উঠার পর চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খেলা। প্রকৃতপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন ফি নাই। ইউজার ফি আদায়ের নামে এখানে রোগীদের ফি প্রদানে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক পরীক্ষা বাইরে গিয়ে করাতে হয়। উচ্চমূল্যের ওষুধ এবং চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে লেখা কোম্পানির ওষুধ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাওয়া না গেলেই রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়। শুধু চিকিৎসককে এবং রোগীর খাবারের ক্ষেত্রে কোন টাকা দিতে হয় না। তবে চুক্তিবদ্ধ বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য রোগী পাঠিয়ে সরকারী হাসপাতালে ফ্রি রোগী দেখার টাকা উঠিয়ে নেন অনেক চিকিৎসক। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে নিয়ে যেতে ট্রলিম্যানদের টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই ফ্রি বেড বলে কিছু নেই। টাকা ও তদ্বির না হলে ফ্রি বেড পাওয়া যায় না। সার্জারি ও আইসিইউ রোগী হলে তো খরচের শেষ নাই। এভাবে পদে পদে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ মেটাতে গিয়ে সরকারী ফ্রি চিকিৎসা যেন সাধারণ মানুষের জন্য সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সরকারী স্বাস্থ্যসেবার একটি বড় অংশই জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। আর দালালদের মাধ্যমে অর্থ লুট ও সীমাহীন হয়রানি সরকারী হাসপাতালের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জে বাস দুর্ঘটনায় আহত মোঃ সেলিমকে (৩৪) নিয়ে এসেছেন স্ত্রী বিপাশা। তিনি বলেন, টাকা না দিলে এখানে এক্স-রে করানোর সিরিয়াল পাওয়া যায় না। বেশি টাকা দিয়ে অনেকেই বাইরে থেকে করিয়ে আনেন। এক্স-রে খরচ ৫৫ টাকা হলেও সিরিয়াল এগিয়ে নিয়ে আসতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। একজন নার্সকে কিছু টাকা দিয়ে তিনি সিট ম্যানেজ করেছেন বলে জানান বিপাশা। রোগী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, রোগীদের অনেক সময় দালালেরা পঙ্গু হাসপাতালের কথা বলে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে রোগীপ্রতি কমিশন পায় তারা। আবার সিনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও নিজেদের চেম্বারে রোগী সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর দরিদ্র ইউসূফ আলী (৫১)। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনটি রিং বসানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হবে বলে রোগীর লোকজনকে জানিয়ে দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধের পেছনে সাত দিনে তার চিকিৎসা খরচ ১৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। রিং বসানোর টাকা না থাকায় শেষপর্যন্ত চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ইউসূফ আলী। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, রিং বসানোর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, হাসপাতালে ফ্রি রিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে পরিচালকের বিশেষ অনুমতি লাগে। সব রোগীর কপালে জোটে না। টাকা ও তদ্বির লাগে। তিনি আরও জানান, একেকজন রোগীর হার্টের রিং বসাতে কিংবা ওপেন হার্ট সার্জারিতে ব্যয় হয় ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এর আগে এনজিওগ্রাম পরীক্ষায় খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ওষুধ ৩ হাজার এবং পরীক্ষা ফি ২ হাজার টাকা। পরীক্ষা ফি মওকুফের সুযোগ থাকলেও দেখানো হয় অনেক নিয়মকানুন। ফলে বিরক্ত হয়ে বেশিরভাগ রোগীই ফ্রি রিংয়ের জন্য আবেদন করেন না বলে জানান ইউসূফ আলী। ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাজেদা বেগম (৪৫) ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দশ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কেমো ও রেডিও থেরাপির প্যাকেজ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি। এই দুই ধরনের থেরাপির পেছনে তার কাছ থেকে নেয়া হয় প্রায় এক লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান। সড়ক দুর্ঘটনায় পা মারাত্মক আহত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন ময়মনসিংহের ভালুকা থানার মল্লিকবাড়ী গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৩৮)। বিশ দিন হাসপাতালে থাকার পর হাসপাতাল থেকে যখন ছাড়া পেলেন, তত দিনে তার পরিবারের খরচের পরিমাণ দেড় লাখ টাকা। অথচ জেলা হাসপাতাল হিসেবে এখানে ফ্রি চিকিৎসা পাওয়ার কথা তার। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো, হাসপাতালের চিকিৎসার টাকা যোগান দিতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই জমিজমা বিক্রি করতে হলো রোগীর পরিবারকে! রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ত্রী-রোগ বিভাগে ভর্তি এক রোগীর জরায়ুর একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন ছিল। ওষুধ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা মিলিয়ে খরচ হলো আট হাজার টাকা! একই হাসপাতালে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত এক তরুণকে ৫টি আইভি স্যালাইন দিতে হয়েছিল। তিনটি স্যালাইন দেয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হবে। শুধু স্যালাইন নয়, কিনতে হয়েছিল জরুরি কিছু ওষুধপত্রও। মোঃ বুলবুলের (৩৪) দুটি ভাল্বই নষ্ট। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অপারেশনের জন্য ভাল্ব ও অক্সিজেনেটর যন্ত্র ওই হাসপাতালে বরাদ্দ থাকলেও ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হয় তাকে। এগুলো ছাড়াও ওষুধ কিনতে লাগে আরও ৩০ হাজার টাকা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ তো হিসাবের বাইরে রয়ে গেছে। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। জীবন বাঁচাতে মাসে শতকরা ২০ টাকা সুদে টাকা নিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন দরিদ্র মোঃ বাবুল। সরকারী হাসপাতালে কেবল হৃদরোগই নয়, ক্যান্সার, কিডনি, লিভারসহ অধিকাংশ রোগের চিকিৎসার পেছনেই বেশ অর্থ ব্যয় করতে হয়। পরীক্ষা ফিও বেশি। একটি সিটিস্ক্যান ও এমআরআই করাতে লাগে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষাগুলোর সুযোগ থাকলেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যত গরিব রোগীই হোক না কেন, ওই পরীক্ষাগুলো করাতে ভর্তি হতে হয়। এরপর রেডিওলজি বিভাগে পরীক্ষার সিরিয়াল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ১৫ থেকে ২০ দিন। সরকারী হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসারও ব্যয় অনেক। এ খরচ বহন দুঃসাধ্য হওয়ায় বিনা চিকিৎসাতেই মারা যান গরিব ও দুস্থরা। অবশ্য কেউ কেউ ধার-কর্জ করে চিকিৎসা করান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামিলা খাতুন তাদেরই একজন। তার স্বামী এক শাণচালক। দা-বঁটি ধার দিয়ে উপার্জিত টাকায় সংসার চালান। স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসায় ৪০ হাজার টাকা ধার করেছেন। চোয়ালের ক্যান্সার সারাতে ২১ দিন পরপর ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। সব ওষুধই বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয়েছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা ॥ সরকারী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সম্পৃক্তদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়টি দীর্ঘ বছর ধরে বেশ আলোচিত হয়ে আসছে। বর্তমান সরকারও এ সমালোচনা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছেÑ সরকারী চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার ফের বেড়েছে। তাদের কেউ কেউ কর্মস্থলে গিয়ে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর দিয়েই চলে যান। অনেকে আসেন দিনের শেষ বেলায়। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকদের দেখা পায় না রোগীরা। তবে নিজেদের আবাসিক কক্ষে গড়ে তোলা অবৈধ চেম্বারে অফিস সময়ে চড়া ফি নিয়ে রোগী দেখতে ভুলেন না চিকিৎসকরা। কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত পরিদর্শন টিমের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। থানা পর্যায়ে টিমের সদস্যরা যান না। নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেও উপস্থিতির হার প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিতে পারছে না সরকার। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে পালাক্রমে ছুটি কাটানোর ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা ॥ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক ও নার্সসহ বাইরের রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে ভূমিকা রাখেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের থাকে আলাদা সিন্ডিকেট। তাদের সঙ্গে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা সম্পৃক্ত থাকেন। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক থাকে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও নার্সদের। চিকিৎসকদের থাকে পৃথক একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের চিকিৎসকদের আসা-যাওয়ার বিষয়টি কেউ বলতে পারেন না। পুরো সপ্তাহের একদিন স্বাক্ষর করলেও অনেক চিকিৎসকের কোন অসুবিধা হয় না। সিট বাণিজ্য ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে তৎপর থাকেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। নার্সদের একটি অংশও সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকেন। বাইরে ওষুধ সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন অনেক নার্স ও স্টোররুমের দায়িত্বে থাকা লোকজন। সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা গেছে, শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীরা। অথচ সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের। সরকারী হাসপাতালে কিছু ওষুধ, বেড ও অপারেশন বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও দামী ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবকিছুতেই অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় আছেন গরিব মানুষ। বিনা পয়সায় রোগ সারানোর আশায় সরকারী হাসপাতালে এসে তারা ভর্তি হওয়ার পর নিরুপায় হয়ে সহায় সম্বল পর্যন্ত বিক্রি করছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বক্তব্য ॥ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ ব্যয় সরকার বহন করে থাকে। সরকারী হাসপাতালে ৭০ শতাংশ বেড বিনামূল্যের এবং ৩০ শতাংশ বেডের জন্য সামান্য ভাড়া নির্ধারিত আছে। এছাড়া রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীকে স্বল্প পরিমাণ ইউজার ফি বহন করতে হয়। ভাড়ায় বেডে থেকে এবং ইউজার ফি প্রদানের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিলেও কোন রোগীর মোট খরচের ১৫ শতাংশের বেশি ব্যয় হওয়ার কথা নয়। সরকারী হাসপাতালে একজন রোগীর আউটডোরে চিকিৎসা নিতে খরচ হয় ১০ টাকা আর ভর্তি হতে ১৫ টাকা। ভর্তির পর থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার সব ব্যয় সরকারই বহন করে থকে।
×