সিরিয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পোর সরকার ও বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অংশে পাল্টাপাল্টি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার শহরটির সরকারনিয়ন্ত্রিত অংশে বিদ্রোহীদের গোলায় একটি স্কুলের আট শিশু শিক্ষার্থীসহ দশজন নিহত হন। অপরদিকে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অংশে ব্যারেল বোমায় এক পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হন। খবর ইয়াহু নিউজের।
আলেপ্পোর বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অংশটি পুনরুদ্ধারে গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে ব্যাপক বিমান হামলার পাশাপাশি কামান থেকে গোলাবর্ষণও করছে সিরিয়ার সরকারী বাহিনী ও তাদের মিত্রবাহিনীগুলো। রবিবার সরকারী বাহিনী শহরের উত্তরপ্রান্তে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত হানানো এলাকায় দিকে এগিয়ে যায়; কিন্তু বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, দু’পক্ষের লড়াই এখনও চলছে এবং সরকারী বাহিনীর অগ্রগতি রুখে দেয়া হয়েছে। আলেপ্পোর বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অংশে চালানো এবারের বোমা হামলা ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র বলে জানা গেছে। এতে বেসামরিকসহ বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।
সরকারী বাহিনীর নিক্ষিপ্ত ব্যারেল বোমায় ক্লোরিন গ্যাস ভরা ছিল বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহীরা। মধ্যরাতে সাখুর জেলায় নিক্ষিপ্ত ওই বোমায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আল বাইতুনজি পরিবারের সবাই মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন তারা। তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বোমা হামলার কথা নিশ্চিত করলেও ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের কথা নিশ্চিত করেনি। অপরদিকে ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া সরকার।
অবজারভেটরি ও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সরকারনিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর আল ফারকান এলাকায় বিদ্রোহীদের গোলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী আটটি শিশু রয়েছে। আলেপ্পোর বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে সরকারী বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।