ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওবামার হুঁশিয়ারি

ট্রাম্প মার্কিন মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গেলে চুপ থাকব না

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২২ নভেম্বর ২০১৬

ট্রাম্প মার্কিন মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গেলে চুপ থাকব না

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মার্কিন মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করেন তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নীরব থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। অবসরে যাওয়ার পর সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টরা রাজনীতি নিয়ে বিতর্কিত করেন না তাদের উত্তরসূরিদের নিয়ে মন্তব্য করেন না। তবে ওবামা এ প্রথা ভঙ্গ করতে পারেন বলে রবিবার লিমায় তিনি জানিয়েছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের। এপেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে ওবামা পেরুর রাজধানী লিমা সফর করেন। রবিবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। ওবামা বলেন, ট্রাম্প যদি মার্কিন মূল্যবোধের প্রতি হুমকি ছুড়ে দেন তবে তিনি চুপ করে থাকবেন না। ওবামা বলেন, ‘ট্রাম্পকে পরিকল্পনার রূপরেখা নির্ধারণ করতে আমি সহযোগিতা করতে চাই। প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদাটি আমি সম্মান করি। এই পদে নির্বাচিত ব্যক্তিকে কাজ গুছিয়ে নেয়ার জন্য আমি আরও সময় দিতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে ওবামা এটিও বলেন, ‘আমাদের প্রধান মূল্যবোধ ও আদর্শ বিষয় নিয়ে তিনি যদি কিছু বলেন তবে প্রথমে আমি দেখব তিনি এই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছেন কি না।’ নিজেকে একজন আমেরিকার নাগরিক আখ্যা দিয়ে ওবামা বলেন, ‘আমি সব সময় নিজের দেশকে গুরুত্ব দেই।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর তাদের উত্তরসূরিদের নিয়ে সমালোচনামূলক কিছু বলেন না। যেমন ওবামা ২০০৮ সালে যখন প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হন তখন তার নয়া প্রশাসনের বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি প্রথামাফিক কয়েকটি কথা ছাড়া কিছুই বলেননি। বুশের আগের প্রেসিডেন্টরাও এই রীতি অনুসরণ করেন। সাবেক কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টই সাবেক বা পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সমালোচনা করেন না। ওবামাও এই রীতি ভঙ্গ করতে চান না। তিনি শুধু বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয় বরং আমেরিকার একজন নাগরিক হিসেবে দেশটির মূল আদর্শ ও মূল্যবোধের বিষয়ে প্রয়োজন বোধে ট্রাম্পের সমালোচনা করতে পারেন। ট্রাম্পের প্রশাসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে চীফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ বেনন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে জেনারেল মাইকেল ফ্লিনের নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বেনন ছিলেন ব্রিটবার্ট নামে একটি ওয়েবসাইটের প্রধান। অন্যদিকে ফ্লিন এক সময় ইসলামকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন জেফ সেশনকে, তিনি বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য ১৯৮৬ সালে ফেডারেল বিচারক পদে নিয়োগ পাননি। ওবামা এখন এ বিষয়ে জনগণের ভীতি দূর করার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্র্রাম্পের কাছে নির্বিঘেœ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার অপেক্ষায় আছেন ওবামা।
×