ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই জবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২১ নভেম্বর ২০১৬

দুই জবি শিক্ষার্থীকে  পিটিয়ে জখম করেছে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা

জবি সংবাদদাতা ॥ পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে ওই দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীর এস আর ভবনের সায়েম টাইমস সেন্টার ঘড়ি দোকানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী অর্ণব ও রনি ঘড়ির বেল্ট ফুটা করতে যায়। এ সময় দোকানের কর্মচারী ঘড়ির বেল্ট ফুটা করে না দিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলে। এই ফাঁকে ওই কর্মচারী দোকানের মালিককে মুঠোফোনে ডেকে আনে এবং কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকানের মালিক কেচি গেট বন্ধ করে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকলে তাদের দোকান থেকে বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনার সংবাদ শুনে অর্ণব ও রনির বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা তাদের উদ্ধার করতে গেলে ঘড়ি ব্যবসায়ী মালিক ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, চাপাতি, ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপরও হামলা করে। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা পাটুয়াটুলীর ঘড়ি মার্কেট সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অগ্রণী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং ব্যাংকের ভবনে ইট-পাটকেল ছোড়ে। ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপরেও ঘড়ি ব্যবসায়ীরা চড়াও হয় এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করার হুমকি দেয়। ব্যবসায়ীদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার কাচের জানালা ভেঙ্গে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাসেল, অর্ণব, রনি, শাকিল, সজীব, নাজিম, সাকিব, হাবিবুর, ইমরান। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাসেল, অর্ণব, রনি, শাকিলকে মির্ডফোট হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
×