ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কীর্তনখোলায় বালু লুটের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২১ নভেম্বর ২০১৬

কীর্তনখোলায় বালু  লুটের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে বালু কাটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তা মানছে না বালুখেকোরা। সরকার দলীয় কতিপয় প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় কীর্তনখোলায় চলছে অবৈধভাবে বালু কাটার হিড়িক। অপরিকল্পিতভাবে বালু কাটার ফলে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সূত্র মতে, কীর্তনখোলার পোটকারচর, কদমতলা, তালতলী, চাঁদমারী, ঝুনারহাট, মোহাম্মদপুর, চরআবদানী, কাউয়ারচর, দপদপিয়া ব্রিজ পয়েন্টসহ নদীর বিভিন্ন শাখা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে চলছে বালু উত্তোলন। অভিযোগ উঠেছে, বালু উত্তোলনের জন্য ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মোটা অঙ্কের মাসোহারা দেয়ার ফলে বরাবরেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন অবৈধভাবে কীর্তনখোলা নদীর বালুগ্রাসকারীরা। সূত্রে আরও জানা গেছে, নগরীর মোহাম্মদপুর, বেলতলা চরআবদানী, চাঁদমারী, দপদপিয়া ব্রিজ এলাকায় কীর্তনখোলা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। ড্রেজার মালিক চাঁদমারী এলাকার ইমন, সিদ্দিকুর রহমান, হুমায়ুন, পলাশপুর এলাকার মামুন, হানিফ, রুবেল, বাচ্চু, আল-আমিনসহ তাদের সহযোগীরা ২৫ থেকে ৩০টি ড্রেজার বসিয়ে কীর্তনখোলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেদারছে বালু কেটে যাচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাসের পর মাস চলছে এ বালু কাটার উৎসব। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে বালু কাটার ফলে কীর্তনখোলা নদীর বিভিন্ন অংশে আকস্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য স্থানীয়রা বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট নাজিউর রহমান বলেন, খুব শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×