ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে কার্বনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পাঁচ গ্রাম

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২১ নভেম্বর ২০১৬

যশোরে কার্বনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পাঁচ গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই সদর উপজেলার রূপদিয়ায় পাটখড়ি পুড়িয়ে কার্বন তৈরি করছে ‘খুলনা কার্বন ইন্ডাস্ট্রি।’ প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পাটখড়ি পুড়িয়ে কার্বন তৈরির কারণে ওই এলাকার পাঁচ গ্রাম সব সময় কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। এ কারণে ওই এলাকায় মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এলাকাবাসী কারখানা উঠিয়ে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভও করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টা ওই কারখানায় পাটখড়ি পোড়ানো হয়। চীনভিত্তিক ওই কোম্পানি পাটখড়ি পুড়িয়ে ছাই দিয়ে কার্বন তৈরি করে। পাটখড়ি পোড়ানোর ফলে রূপদিয়ার এক অংশ, নরেন্দ্রপুর, হাটবিলা, মুনসেফপুর ও সাঁখারিগাতি গ্রামের বেশিরভাগ অঞ্চল কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। বসতঘরের মধ্যে ধোঁয়া যাওয়ায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না অনেকে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিতে ভুগছে অনেকে। ধোঁয়া কমাতে ওই গ্রামের কয়েক নারী কারাখানার শ্রমিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বরং তিরস্কারের শিকার হয়েছে অনেকে। পাটখড়ির সঙ্গে এক ধরনের কেমিক্যাল দেয়া হয়। সে কারণে ধোঁয়া কালো হয়ে চোখমুখ জ্বলতে থাকে। অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা হয় কারখানার মালিক মুরাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর আগে ওই এলাকায় কারখানাটি অবস্থিত। চায়না ভিত্তিক কোম্পানি এটি। এখানে পাটখড়ি পুড়িয়ে কার্বন তৈরি করে ফের বিদেশে রফতানি করা হয়। শতভাগ রফতানিভিত্তিক বিদেশী কোম্পানি। এই কোম্পানির ছাড়পত্র ঢাকা থেকে নেয়া। এনবিআরের অনুমোদনও আছে। অনুমোদনের বিষয়টি যশোরের পরিবেশ অফিসের অনেক অফিসার জানেন না। সে কারণে তারা বলতে পারে অনুমোদন নেই। তিনি আরও জানান, কারখানায় ৩০টি চিমনি ব্যবহার করা হয় ধোঁয়া উপরে উঠানোর জন্য। একটি চিমনিতে সমস্যা হওয়ার ফলে ধোঁয়া নিচের দিকে যাচ্ছে। এই কারণে স্থানীয় নারীরা হঠাৎ কারখানায় আসে। এই দেখে সেখানে দুই চীনা কর্মকর্তাও অবাক হয়।
×