ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরায় এক রুমে দুই ক্লাস

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২১ নভেম্বর ২০১৬

সাতক্ষীরায় এক রুমে দুই ক্লাস

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ এক ঘরের একপাশে চলছে এক শ্রেণীর ক্লাস। একই রুমের অন্য পাশে অপর শ্রেণীর ক্লাস নিচ্ছে শিক্ষক। ফিসফিস করে কথা বললেও মনোযোগ নষ্ট হয় অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের। বাঁশ, চাঁচের বেড়া আর টিনের তৈরি ছাপড়া ঘরে চলছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম, এভাবেই চলছে সব ক্লাস। এ চিত্র সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৮। শিক্ষক রয়েছে চারজন। সমস্যা থাকলেও শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টায় ২০১২ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করে আসছে বিদ্যালয়টি। ১৯৯০ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়েছে ২০১৩ সালে। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় যে বাঁশ আর চাঁচ দিয়ে ঘর তৈরি করা হয় সেই বাঁশের খুঁটি খুলে খুলে পড়ছে। নষ্ট হয়ে গেছে চাঁচের বেড়া। ছিদ্র হয়ে গেছে টিনের চাল। বর্ষা হলেই পানি পড়ে। কাদা হয়ে যায় ঘরের মেঝে। আর বিদ্যালয়ের মাঠ জলাবদ্ধ থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। বাউফলে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল থেকে জানান, বাউফলের উত্তর পূর্ব মদনপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। যে কোন সময় স্কুল ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে ৪ কক্ষবিশিষ্ট এই স্কুল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এই ভবনটি নির্মাণ করে। এরপর থেকে স্কুল ভবনটি আর সংস্কার করা হয়নি। স্কুল ভবনটির কলাম, বিম, ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। পলেস্তরা খসে গিয়ে রড দেখা যাচ্ছে। স্কুলটির ছাদ ধসে পড়ার আংশকায় স্থানীয়রা শ্রেণীকক্ষের মধ্যে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেলে রেখেছেন। এ স্কুলে ১৬৫ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। আবার এর মধ্যে শ্রেণীকক্ষের অভাবে একই রুমে চট দিয়ে বেড়া দিয়ে একই সময় দুটি ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদ খান মেনন বলেন, বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকার আবেদন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
×