ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালীদের প্লট, খেয়ে ফেলেছে সড়ক

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২০ নভেম্বর ২০১৬

প্রভাবশালীদের প্লট, খেয়ে ফেলেছে সড়ক

বিডিনিউজ ॥ নক্সায় ৬০ ফুট প্রশস্ত সড়ক থাকলেও তা নেই রাজধানী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের একাংশে। সেই স্থানে গড়েওঠা প্রভাবশালীদের পাঁচটি প্লটের কারণে আটকে গেছে হাতিরঝিলে চলাচলের পথ। নক্সায় থাকা সড়কে পাঁচটি প্লট বানিয়ে তা বরাদ্দ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এর তিনটি দেয়া হয়েছে বিএনপি আমলে মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকাকালে। দুটি দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলে আবদুল মান্নান খান প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে। আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালে প্লট দুটি পেয়েছেন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও কামাল উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘লোক’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপি আমলে ২০০৬ সালে প্লট তিনটির দুটি পান সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া (সদ্য প্রয়াত), অন্যটি পান সাবেক জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলাম। প্লটগুলোর কারণে বৌবাজার থেকে হাতিরঝিলের সংযোগ সড়কটি জটিলতায় পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া। এই জট কাটাতে নক্সা ভেঙ্গে তৈরি করা অবৈধ প্লট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। মূল নক্সা অনুযায়ী জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটের সামনে বিপরীত দিক থেকে শুরু হয়ে হাতিরঝিল পর্যন্ত ৬০ ফুট চওড়া সড়কটির অবস্থান। নতুন বানানো ওই পাঁচটি প্লটে প্রতিবিঘা জমির বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। প্লট গ্রহীতারা সে হিসেবে দাম পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। গণপূর্ত অধিদফতরের নথি অনুযায়ী, দুটি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মেসার্স রয়েল ফিলিং স্টেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। এর মালিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়া। জিয়াউল হকের প্লটে দোকানপাট। এটির মালিক এখন মোরশেদ খানের ছেলে। জিয়া মারা গেছেন। কর্মকর্তারা জানান, জিয়া তার প্লটটি পরে বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল খানের কাছে বিক্রি করে দেন। মন্ত্রী মেননের মালিকানাধীন সুদীপ্ত প্রিন্টার্স এ্যান্ড প্যাকেজার্সকে ১৩৩/১/ক নম্বর প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ঠিকানা ৯ ইস্কাটন গাউস নগর, ঢাকা ১০০০। এ প্লটে জমির পরিমাণ প্রায় ৬ দশমিক ১৭ কাঠা। এতে সুদীপ্ত প্রিন্টার্সের কারখানা দেখা যায়।
×