স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ নানা ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যকে আগামী নির্বাচনে নিজ দল তথা জোটের অংশ না নেয়ার কৌশলপত্র হিসেবে দেখছে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় একথা বলা হয়েছে। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পলিটব্যুরোর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো ইসি গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাব দেখে মনে হয় এটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কৌশলপত্র। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তার দল যে কর্মকা- করেছে তারই পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে বাছাই কমিটি গঠনে বিধান থাকা সত্ত্বেও সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবের আড়ালে জামাতে ইসলামীকে বগলের তলায় রাখার কৌশল ন্যক্কারজনক। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে নিয়োগের প্রস্তাবও অনভিপ্রেত। নির্বাচন কমিশনকে সার্বভৌম ও শক্তিশালী করার পরিবর্তে এই প্রস্তাব অনাকাক্সিক্ষত।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত যে মানুষ হত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতি গ্রহণ করেছিল তা ছিল মহা অপরাধ। যার খেসারত খালেদা জিয়া ও তার দলকে দিতে হয়েছে। পলিটব্যুরোর বক্তব্যে বলা হয়, নতুন নতুন কৌশলের অবতারণা করে আগামী নির্বাচন বানচাল করার কোন ষড়যন্ত্র কার্যকর করার ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই। এ দেশের জনগণ তাদের এই অপকৌশলকে দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করবে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করার দাবি জানানো হয়েছে।