ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবে, পুরস্কারে আর বিশ্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শেষ হলো লিট ফেস্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২০ নভেম্বর ২০১৬

উৎসবে, পুরস্কারে আর বিশ্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শেষ হলো লিট ফেস্ট

মনোয়ার হোসেন ॥ সবাই সাহিত্যের অনুরাগী নয়। তাই বলে একই সংখ্যাটা নেহাত মন্দ নয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় কোটি মানুষের ভিড়েও রয়েছে বেশ কিছু সাহিত্যপ্রেমী। আর সেসব সাহিত্যপ্রেমীরা টানা তিন দিন ধরে মুখরিত করে রেখেছিলেন ঢাকা লিট ফেস্ট। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বর্ণময় হয়ে ধরা দিয়েছে এ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। সেই সঙ্গে ব্যক্ত হলো দেশের সাহিত্যকর্ম বিশ্বসভায় পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয়। বাংলার সমাদৃত সাহিত্যকর্ম ছড়িয়ে যাবে সারাবিশ্বে- এ আশাবাদ জাগানো তিন দিনের এ উৎসবের সমাপনী দিন ছিল শনিবার। সাহিত্যভিত্তিক নানান আলোচনার পাশাপাশি কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আধ্যাত্মিক গানের পরিবেশনা, গল্পকথকের গল্প বলাসহ এদিনও নানান অধিবেশন প্রাণভরে উপভোগ করেছে বাংলা একাডেমি আঙিনায় উৎসবে আগত অগণন শ্রোতা-দর্শক। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বইয়ের স্টলে ঘুরেও দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লেখকদের সাহিত্যকর্ম সংগ্রহ করেছেন পাঠকরা। সমাপনী দিনে নানান অধিবেশনের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জেমকন সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা। প্রবীণ ও নবীন দুই লেখকের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার। সব শেষে ছিল সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা। সমাপনী দিনে ছিল ৩৯টি অধিবেশন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করেছে যাত্রিক। উৎসবে অংশ নিয়েছেন ১৮ দেশের ৬৬ জন সাহিত্য-শিল্পসংশ্লিষ্ট বিদেশী অতিথি এবং দেড় শতাধিক বাংলাদেশী সাহিত্যিক-লেখক ও গবেষক। লিট ফেস্টের বই সম্ভার ॥ এ সাহিত্য উৎসবে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশী লেখকদের বেশ কয়েকটি বইয়ের ইংরেজী অনুবাদ গ্রন্থ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফখরুল আলম অনূদিত মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’, লাইব্রেরি অব বাংলাদেশ পরিবেশিত মঈনুল আহসান সাবের ও রিজিয়া রহমানের দুই বই এবং বেঙ্গল লাইটস বুক থেকে প্রকাশিত খাদেমুল ইসলামের অনূদিত কাব্যগ্রন্থ। বইয়ের এ উৎসবে ঠাঁই পেয়েছে অনেক বই বিতান। তিন দিন ধরে পাঠকরা ঘুরে বেড়িয়েছেন সেসব স্টলে। কিনেছেন আপন মননের উপযোগী বইটি। তবে উৎসবটা যেহেতু আন্তর্জাতিক তাই অধিকাংশ পাঠকই খুঁজেছেন দেশের লেখকদের সৃষ্টিকর্মের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখকদের বৈচিত্র্যময় নানান গ্রন্থ। এক্ষেত্রে বুক ওয়ার্ম নামের স্টলটি ছিল সবচেয়ে বেশি বইয়ের সম্ভার। তাই এখানে পাঠকের সমাগমও ছিল বেশি। অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে এ স্টলের যে বইগুলো পাঠকদের বেশি আকৃষ্ট করেছে সেগুলো হলো- টিম কপের ভ্রমণ কাহিনী ‘অন দ্য ট্রেইল অব চেঙ্গিস খান’, যুক্তরাজ্যের অনুবাদক ডেবোরাহ স্মিথ অনূদিত দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাংয়ের উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’, ভারতের নয়নিকা মুখার্জীর ‘দ্য স্পেক্টোরিয়াল মুন’, বিজয় শেষাদ্রীর পুলিৎজারজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘থ্রি সেকশন’, ব্রিটিশ লেখিকা বি রোলাটের ‘ইন সার্চ অব মেরি’, ভারতীয় লেখিকা সাদিয়া দেলভির ‘সুফিজম : দ্য হার্ট অব ইসলাম’, ব্রিটিশ সাংবাদিক বেন জুদাহর ‘দিস ইজ লন্ডন’ ইত্যাদি। ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টারে মূলত দেশের খ্যাতিমান ও নবীন লেখকদের বাংলা বইয়ের ইংরেজী সংস্করণের দেখা মিলেছে। এ স্টলের ‘দ্য বুক অব ঢাকা’ বইটি বিশেষভাবে পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। এ বইতে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস থেকে শুরু করে মঈনুল আহসান সাবের, বিপ্রদাশ বড়ুয়াসহ ১০ লেখকের দশটি গল্প ঠাঁই পেয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের দশ বাংলা কবির কবিতায় সাজানো ইংরেজী সংস্করণের কাব্যগ্রন্থ ‘অন মাই বার্থ ডে’। কথা হয় এ প্রকাশনা সংস্থার নিবার্হী ইয়াসমিন ইতির সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা মূলত দেশের লেখকদের বই সারাবিশ্বের পাঠকদের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করছি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাহিত্যকর্মগুলো যেন আন্তর্জাতিক পাঠকের নজর কাড়ে, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখছি। এছাড়া পাঠক সমাবেশের স্টলে ঠাঁইপ্রাপ্ত বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ২৫ ভলিউমের রবীন্দ্রসমগ্র বিশেষভাবে পাঠকদের আকৃষ্ট করেছে। এছাড়া স্টলটিতে বিশ্বখ্যাত লেখকদের মধ্যে খুশবন্ত সিং, অরহান পামুক, আগা ক্রিস্টি, সালমান রুশদী, অরুন্ধতী রায়ের বইগুলোর প্রতিও ছিল পাঠকের বিশেষ নজর। ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্টলে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের ইংরেজী অভিধানের নব্য সংস্করণের বেশি কাটতি ছিল। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ে সাজানো উৎসবের অন্য স্টলগুলো ছিল বাংলা একাডেমি, ইউপিএল, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, অনন্যা, আগামী, প্রথমা, ইগনাইট ও ডেইলি স্টার বুকস। দুই লেখককে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার প্রদান ॥ ঢাকা লিট ফিস্টের সমাপনী দিনের একটি অধিবেশনে প্রদান করা হয় ২০১৬ সালের জেমকন সাহিত্য পুরস্কার। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন মঈনুল আহসান সাবের এবং জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন মোস্তাফিজ কারিগর। ‘আবদুল জলিল যে কারণে মারা গেল’ বইয়ের জন্য মঈনুল আহসান সাবের এবং ‘বস্তুবর্গ’ উপন্যাসের পা-ুলিপির জন্য মোস্তাফিজ কারিগর এ পুরস্কার পেয়েছেন। সন্ধ্যায় উৎসবের মূল মঞ্চ বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে লেখকদ্বয়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র ছাড়াও মঈনুল আহসান সাবেরকে ৮ লাখ এবং মোস্তাফিজ কারিগরকে ২ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান, ভারতের কবি জহর সেন মজুমদার ও আকবর আহমেদ। সমাপনী দিনের কয়েকটি অধিবেশন ॥ বেলা সাড়ে বারোটায় উৎসবের মূল মঞ্চ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘যুদ্ধ শেষের যুদ্ধ’ শীর্ষক অধিবেশন। এতে আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আকিমুন রহমান, কবি মাহবুব আজীজ, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ ও উৎসব পরিচালক আহসান আকবর। অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক নবনীতা চৌধুরী। এ অধিবেশনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে নতুন যুদ্ধ ধর্মের নামে অমানবিকতা, সম্প্রদায়বাদী রাজনীতির প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। সে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ডানপন্থার উত্থান নিয়েও আলোচনা হয়। সমাপনী দিনে প্রখ্যাত শিল্পী মনিরুল ইসলামের শিল্পী জীবন ও তার শিল্প ভাবনা নিয়ে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে কসমিক টেন্টে। শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র ও গ্রন্থ প্রকাশ করেছে এনার্জিস লিমিটেড। ইংরেজী ভাষায় লেখা ‘মনির’ শীর্ষক বইটিতে ১৯৬৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মনিরুল ইসলামের নির্বাচিত শিল্পকর্ম নিদর্শন স্থান পেয়েছে। বইটি প্রকাশ উপলক্ষে আলোচনা ও শিল্পীর সঙ্গে কথপোকথনে অংশ নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত এদুয়ার্দো ডে লা ইগলেসিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনার্জিস লিমিটেডের পরিচালক জেরিন মাহমুদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিপার্টের সম্পাদক মুস্তাফা জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট, এনার্জিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ হোসেন প্রমুখ। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, স্পেনে থাকলেও মনিরুল ইসলাম এ মাটির সন্তান। দেশ যার মনে প্রভাব না ফেলে তিনি বড়মাপের কাজ করতে পারে না। তাকে দেখলে তার সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় বাংলাদেশ তার চেতনায় মিশে রয়েছে। উৎসবের শেষ দিনের আয়োজনের সূচনা হয় নেদা শাকিবার কণ্ঠে বাহাই গানের পরিবেশনায়। বাংলা, ইংরেজী, ফার্সী, আরবী ও হিন্দী ভাষায় ঈশ^রের বন্দনা করেন এই শিল্পী। সকাল দশটায় ব্র্যাক মঞ্চে ‘মসলিনস মিস্টিক’ শিরোনামের অধিবেশনে ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় মসলিন নিয়ে আলোচনা করেন সাইফুল ইসলাম, রুবি গজনবি, ফকরুল আলম ও শহীদুল আলম। একই সময় বটতলায় হয় নারীর শক্তি নিয়ে বিশেষ আলোচনা ‘গার্ল পাওয়ার’। এতে আলোচনা করেন এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাত মজুমদার, মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ এবং ফুটবলার শ্যামলী বসাক। একই সময় কসমিক টেন্টে প্রদর্শিত হয় ‘দ্য সেন্টস অব সিন’। বেলা সোয়া ১১টায় মূল মঞ্চে নারীর পোশাক নিয়ে ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ শীষর্ক অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন ভারতীয় সাংবাদিক সাদিয়া দেলভি। আলোচনা করেন সামিয়া হক, আমিনা ইয়াকিন, তাসাফি হোসেন ও হানিয়ূম মারিয়া চৌধুরী। এ সময় লনে ‘আরব ফিকশন’ নিয়ে আলোচনা করেন নায়েল এলতোখি ও মার্সিয়া লিনেক্স কোয়েলি। সঞ্চালনা করেন কেলি ফ্যালকনার। এ সময় বটতলায় শিশুদের জন্য ছিল গল্প শোনার আসর। কিউ পি আলম ‘আশা এ্যান্ড দ্য ম্যাজিক মশারি’ গল্পটি পাঠ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় কেকে টি স্টেজে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এ্যাকর্ডিং টু পুতিন’ শিরোনামের অধিবেশনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে নিয়ে আলোচনা করেন ব্রিটিশ সাংবাদিক বেন জুদাহ ও রোজামান্ড আরউইন। একই সময় কসমিক টেন্টে মসলিন নিয়ে শিশু উপযোগী এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ও নাটক ‘দ্য মসলিন স্টোরি’ প্রদর্শিত হয়। বেলা পৌনে দুইটায় কেকে টি স্টেজে ‘জেনেটিক্স : লাইফ হ্যাক্্ড’ শীর্ষক অধিবেশনে কথা বলেন ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী সঞ্জীব জৈন ও বাংলাদেশের জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। বিকেল তিনটায় মূল মঞ্চে ‘পোয়েট্রি : স্টিল হেয়ার আফটার অল দিস ইয়েটস্্’ শীর্ষক অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন আমিনা ইয়াকিন। আলোচনা করেন পুলিৎজারজয়ী কবি বিজয় শেষাদ্রী, খাদেমুল ইসলাম ও জেফরি ইয়াং। এ সময় বটতলায় বরিশালের মনসামঙ্গল সম্প্রদায় মঞ্চস্থ করে ‘বেহুলা-লখিন্দর’। বিকেল সোয়া চারটায় কেকে টি স্টেজে ছিল ড্যানিয়েল হানের সঞ্চালনায় ‘বুক অব ঢাকা’ শীর্ষক অধিবেশন। এতে আলোচনা করেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অরুনাভ সিনহা, কায়সার হক ও কিউপি আলম। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কেকে টি স্টেজে ‘অনুবাদে পূর্ব পশ্চিম’ শীর্ষক অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন মাসরুর আরেফিন। সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা ॥ সন্ধ্যায় উৎসবের মূল মঞ্চ একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। আরও বক্তব্য রাখেন উৎসব পরিচালক সাদাফ সায্, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সমালোচক চালর্স ক্যাম্পেবেল। ফজলে হাসান আবেদ বলেন, এদেশে সংস্কৃতির বহু ধারা রয়েছে, সে সঙ্গে তার মধ্যে ঐক্য রয়েছে। আমাদের উন্নয়নের সার্বিক কথাই হচ্ছে সংস্কৃতির উন্নয়ন। লিট ফেস্ট নিয়ে তিনি বলেন, গত তিন দিন এ উৎসব ছিল এ শহরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সে সঙ্গে লিট ফেস্টের আগের পাঁচ বছরের আসরের থেকে এবারের আসর সবচেয়ে সেরা বলে আমি মনে করি। যদিও আমি বেশিরভাগ অধিবেশনেই থাকতে পারিনি। বন্ধু সৈয়দ শামসুল হককে স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধুকে মিস করছি। আর তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে একজন মেধাবী সন্তানকে।
×