ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ১৪৮৪ স্পটে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়

জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২০ নভেম্বর ২০১৬

জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন ॥ প্রধানমন্ত্রী

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ধর্মের নামে যা করা হচ্ছে তা শান্তির পথ নয়। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশ সন্ত্রাসীদের চারণভূমি হবে না। সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের এগারোটি জেলার নাগরিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪৮৪ স্পটে অনুষ্ঠিত হয় এই ভিডিও কনফারেন্স। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ের এ অনুষ্ঠান দেখতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে মাঠে। এদিন মহানগরে ২৭৮টি, উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি, পৌরসভা পর্যায়ে ১২টি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮০টি, গ্রোথ সেন্টারে ১৯২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৮৬টি, কলেজে ৫৯টি, মাদ্রাসায় ১১৪টিসহ মোট ১৪৮৪ স্পটে স্থাপন করা হয় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। ভিডিও কনফারেন্সে একযোগে এতগুলো স্পটে সংযোগ স্থাপনের ঘটনা এটিই প্রথম। ফলে সাধারণ মানুষের আগ্রহও ছিল বেশি। ভিডিও কনফারেন্সে কুশল বিনিময়ের পর তুলে ধরেছেন বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। বলেছেন, বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। কেননা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার এমন সুযোগ বিরল। ভিডিও কনফারেন্স একের পর এক প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎ তিনি একজন রিক্সাচালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। মাইক্রোফোন পেয়ে আনন্দে আত্মহারা রিক্সাচালক আবদুস শুক্কুর। কী বলবেন যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। আবদুস শুক্কুর বললেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু শুনেছি। কিন্তু এটা কী, তা দেখি নাই। আজ লালদীঘি মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।’ তখন পুরো লালদীঘি মাঠ করতালিতে মুখরিত হয়। লালদীঘি মাঠের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সংসদ সদস্য ডাঃ আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ ফারুক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমিনুল আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী একজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এক শ্রমিক এগিয়ে গিয়েও সুযোগ পাননি এক শ্রমিক নেতার কারণে। নিজকে মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তিনিই কথা বলেন। বিষয়টি অনেকেই ভালভাবে নেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না তাদের দ্বারা উন্নয়ন হবে না। আমরা সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছি, আমরাই দেশের উন্নয়ন করছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা যায়নি। সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের ভুল। তাদের ভুলের খেসারত সাধারণ মানুষ দেবে কেন। আন্দোলনের নামে তারা সাধারণ মানুষের বাড়িঘর এবং যাত্রী ও চালকসহ যানবাহন পুড়িয়েছে। কানসাটে বিদ্যুত কেন্দ্র পুড়িয়েছে। বিএনপির আন্দোলন মানে সন্ত্রাস। খালেদা জিয়া তার গুলশানে এক বাসা থেকে অন্য বাসায় গিয়ে বললেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঘরে ফিরবেন না। ৯২ দিন গুলশানে অফিসে থেকে তিনি ৫০৮টি গাড়ি পুড়িয়েছেন। সারাদেশে সন্ত্রাস ছড়িয়েছেন। মানুষের মুরগির খামার ও গরু পর্যন্ত রেহাই পায়নি। এর আগে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছে। বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে, পাহারা দেয় পুলিশ। তারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের চারণভূমি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা বিদেশে রিফিউজির মতো ছিলাম। কিন্তু হত্যাকারীদের রাষ্ট্রদূত বানিয়ে ও বড় চাকরি দিয়ে সম্মানিত করেছিল জিয়াউর রহমান সরকার। তখন তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেয়। দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতীয় বাজেটের আকার ৫ গুণ বৃদ্ধি করেছি। বিদ্যুত উৎপাদন ২২শ’ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। অথচ, বিএনপি আমলে শুধু খাম্বা বাণিজ্য হয়েছিল। রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল খাম্বা। কারণ খালেদা জিয়ার পুত্রের খাম্বার কারখানা আছে পঞ্চগড়ে। অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে খেয়াল রাখবেন। তাদের বোঝান যে, ধর্মের নামে যা হচ্ছে তা শান্তির পথ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে চাই। এদেশ জঙ্গীবাদের দেশ হতে পারে না। এদেশের মাটি সন্ত্রাসী কর্মকা-ে ব্যবহৃত হবে না। লালদীঘি মাঠের ভিডিও কনফারেন্স শেষে ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর হাতে নাজেহাল হন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। সেখানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল নেতাদের বক্তব্য নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং এরপর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালামের বক্তব্য ধারণ করা হয়। এরপর বক্তব্য ধারণ করা হচ্ছিল মোসলেম উদ্দিন আহমদের। এ সময় ক্যামেরায় চেহারা দেখানোর জন্য নেতার পেছনে প্রচ- ভিড় জমায় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী। তারা এই সিনিয়র নেতার গায়ের ওপর এসে পড়লে তিনি একজনকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এরপরই তেড়ে আসে লালটুপি পরা ছাত্রলীগের কিছু কর্মী। তারা মোসলেম উদ্দিনকে মারতেও উদ্যত হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে অন্য নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ভিডিও কনফারেন্সিং করতে না পেরে হতাশ খাগড়াছড়িবাসী ॥ পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন না হওয়ায় ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে খাগড়াছড়ি জেলাবাসী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং করেন। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ প্রান্তিক এলাকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে যুক্ত হতে না পেরে হতাশ খাগড়াছড়িবাসী। সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের সুযোগ না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে বিটিভির সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও প্রজেক্টের সাহায্যে আগত অতিথি ও জনগণকে দেখানো হয়। টাউন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী, পৌর মেয়র রফিকুল আলমসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে আগত উৎসুক জনতা হতাশ হয়ে বলেন, রাঙ্গামাটির মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবলার সুযোগ পেয়েছে আর আমরা পায়নি। টেলিভিশন থেকে দেখালে কী প্রয়োজন ছিল এতো আয়োজন করার। ঘরে বসেই তো দেখা যেত। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ৬৭ কি.মি. এলাকা জুড়ে বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের কাজ দীর্ঘদিন ধরে অসম্পূর্ণ থাকায় খাগড়াছড়ি জেলাবাসী উন্নত ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিলেন লক্ষ্মীপুরে লাখো মানুষ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরে লাখো মানুষ। জেলার পাঁচটি উপজেলার ছয়’টি থানার ৫৮ ইউনিয়ন, চারটি পৌরসভা এবং সব ক’টি গ্রোথ সেন্টারে বড় পর্দার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স দেখা ও শোনার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চাঁদপুর ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ১৩৮৯ স্পটে তৃণমূল জনগণের সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গী প্রতিরোধ এবং সরকারের উন্নয়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি দেখার জন্য জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার সহযোগিতায় শহরের হাসান আলী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংযুক্ত হয়। চাঁদপুর জেলাবাসীর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর ম-ল, সাংবাদিকদের পক্ষে শহীদ পাটওয়ারী ও মৎস্যজীবীদের পক্ষে মালেক দেওয়ান। এছাড়াও কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাইমচর উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রজেক্টরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেদ সরকার, পৌর মেয়র মাহফুজুল হকসহ সর্বস্তরের জনতা ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজে বাস প্রদানের প্রতিশ্রুতি ॥ বাংলানিউজ জানায়, রাঙ্গামাটি সরকারী মহিলা কলেজে শিক্ষক সঙ্কট নিরসন ও ছাত্রীদের জন্য একটি বাস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া এ অঞ্চলেও ভূমি অধিগ্রহণে ১৫০ ভাগ ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রাঙ্গণে রাঙ্গামাটিবাসীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রতিশ্রুতি দেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, রাঙ্গামাটি আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইচ চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা দীপঙ্কর তালুকদার, হেডম্যান সমিতির নেতা কেরল চাকমা, ফার্নিচার মিস্ত্রি আবুল হাসেম ও রাঙ্গামাটি সরকারী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী টিনু চিং মারমা। কুমিল্লার কৃষক ও মৃৎশিল্পীর কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লার একজন কৃষক ও একজন মৃৎশিল্পী নেতার কথা শুনেছেন। তবে কুমিল্লা নিয়ে তিনি কোন কথা বলেননি। শনিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কাজ এবং জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় একজন কৃষক সবজি চাষে ক্ষতিকারক কীটনাশক ও ওষুধ ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে বিজয়পুর মৃৎশিল্পের সভাপতি তাপস পাল মৃৎশিল্পের প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। ভিডি কনফারেন্স চলাকালে পরিকল্পনামন্ত্রী আফম মোস্তফা কামাল, কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ ওমর ফারুক, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মীর আহসানুল কবির, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আফজল খান প্রমুখ।
×