ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনামসজিদ বন্দরে রাজস্ব আয় ১৬৩ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২০ নভেম্বর ২০১৬

সোনামসজিদ বন্দরে রাজস্ব আয় ১৬৩ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থা কাটিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে নানান কারণে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আয় কমে শূন্যের কোটায় চলে যাওয়ার কারণে বন্দরের অস্তিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। বিশেষ করে আমদানি রফতানি কারকরা সোনামসজিদ বন্দর ছাড়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বন্দরে নতুন সিএন্ডএফ কমিটি আসার পর তারা বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে বন্দরকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করায় এবং ছেড়ে যাওয়া আমদানি রফতানি কারকদের অন্যান্য বন্দরের মতো সুযোগ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তারা আবার বন্দরে ফিরে আসে। আমদানি রফতানি কারকদের ফিরে আসার কারণে বন্দরের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটি নয়। যদিও তাদের কারণেই পণ্য আমদানি কমে যায়। যার কারণে গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ধস নামে। কিন্তু চলতি অর্থ বছরে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে বন্দরে। যার কারণেই এ চার মাসে রাজস্ব আয় এসেছে ১৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮ কোটি ২২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। বন্দরের কাস্টমস সূত্র নিশ্চিত করেছে গত জুলাই মাসে ৬১৯৯, আগস্টে ৯২৭৮, সেপ্টেম্বরে ৬৫৬৭ ও অক্টোবর মাসে ৫৮৭১ ভারতীয় ট্রাকে পণ্য আমদানি হয়েছে। যদিও ফল আমদানি তেমন বাড়েনি, তবে অন্যান্য পণ্যের আমদানি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। একই ধারায় পূর্বের মতো ফল আমদানি হলে রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়ত। ডিসেম্বর থেকে নতুন বছর শুরু হওয়ামাত্র ভারতীয় ফলের আমদানি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। প্রকৌশলী মাহফুজ উদ্দিন বিটিসিএলের নতুন এমডি বিসিএস টেলিকম ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মাহফুজ উদ্দিন আহমদ বিটিসিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। টেলিকম সেক্টরে তার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত ১৫ নবেম্বর ২০১৬ তারিখে দুই বছর মেয়াদের জন্য তাকে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মাহফুজ উদ্দিন আহমদ ১৯৫৬ সালের ১৩ জুলাই যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বিসিএস (টেলিকম) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৯৭৯ সালে সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০০ সালে পরিচালক, ২০১০ সালে প্রধান কর্মাধ্যক্ষ, ২০১৪ সালে বিটিসিএলের সদস্য পদে কর্মরত ছিলেন। পরে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত বিটিসিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। -বিজ্ঞপ্তি
×