ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন বিজ্ঞানীদের প্রকাশিত রিপোর্ট

১০টি স্থানে পরমাণু অস্ত্র জমিয়ে রেখেছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২০ নভেম্বর ২০১৬

১০টি স্থানে পরমাণু অস্ত্র জমিয়ে রেখেছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের কাছে মজুদ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৩০ থেকে ১৪০-এর মতো হবে বলে মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটি গ্রুপ জানিয়েছে। উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র ও অন্যান্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। দেশটির অন্তত ১০টি স্থানে তারা এসব অস্ত্র সংরক্ষণ করছে। সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। ‘পাকিস্তান পরমাণু স্থাপনা গড়ছে’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন দিকনির্দেশনা উপেক্ষা করে পাকিস্তান এখন এফ-১৬ জঙ্গীবিমানগুলোকে পরমাণু অস্ত্র বহণক্ষম করছে। এছাড়া ফরাসী মিরেজ জঙ্গীবিমানগুলোকেও আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য রাড ক্ষেপণাস্ত্র বহনের উপযোগী করা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বহণক্ষম করা ফাইটার জেটগুলোর একটি অংশ রাখা হয়েছে করাচীর পশ্চিমাঞ্চলীয় মাসরুর বিমানঘাঁটিতে। এর নিচে রয়েছে বিশাল এক ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এটি কমান্ড সেন্টার হতে পারে। দেশটির পরমাণু কর্মসূচীর বেশিরভাগই ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রভিত্তিক। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্রে দেখা যায়, পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০টি পরমাণু স্থাপনা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি মিসাইল গ্যারিসন ও দুটি বিমানঘাঁটি। সিন্ধু প্রদেশের আকরো, পানো আকিল ও সারগোদা, পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা এবং বেলুচিস্তানের খুজদারে পরমাণু অস্ত্রগুলো রয়েছে। এফএএসের (ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট) বিজ্ঞানী হ্যান্স কার্সটেনসেন বলেন, উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র ও অন্যান্য উপাত্ত থেকে পাকিস্তানের পরমাণু উচ্চাভিলাষের ধারণা পাওয়া যায়। দেশটি এখন পরমাণু অস্ত্র ভা-ারের মজুদ বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে। বাহাওয়ালপুর এবং ডেরা গাজি খানের কাছে নতুন দুটি স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যানগুলো এসব স্থাপনার আশপাশে ঘুরছে বলে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে। ১শ’ কিলোমিটার থেকে মাঝারি পাল্লা পর্যন্ত এসব ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা। ভারতের বিভিন্ন জায়গা টার্গেট করে বসানো ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ চীনের কাছ থেকে পাকিস্তান পেয়ে থাকবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রাজধানী ইসলামাবাদের পশ্চিমে অবস্থিত ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্সে অবস্থিত স্থাপনাটিই শাহিন-২ নামের মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ভূমিভিত্তিক বাবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রিপোর্টের উপসংহারে বলা হয়েছে, ভারতকে বিবেচনায় রেখে পরমাণু কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। ভারতের সমান স্তরে না পৌঁছানো পর্যন্ত দেশটির পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ হবে না বলেই মনে হয়।
×