ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইটি ডটকম

ম্যাকবুক প্রোর টাচবারে বিস্ময়কর পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

ম্যাকবুক প্রোর টাচবারে বিস্ময়কর পরিবর্তন

এ্যাপলের নতুন ম্যাকবুক প্রোর টাচবার দু’সেকেন্ড ব্যবহার করলেই এর প্রেমে পড়ে যেতে হয়। স্পর্শ সংবেদনশীল নতুন কন্ট্রোল বারটিতে ডিসপ্লে আসতে এক সেকেন্ড লাগে। আপনার ব্যবহৃত প্রোগ্রামের ভিত্তিতে এতে বিভিন্ন কন্ট্রোল দেখানো হয়। এটি শিল্পের মতো মসৃণ, দেখতেও সুন্দর এবং ব্যবহার করা অবিশ্বাস্যরকমের সহজ। টাচবারের দুটি মডেল আছে- একটি ১৩ ইঞ্চি অন্যটি ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপ। টাচবার না থাকা মডেলের চাইতে এটার দাম কমপক্ষে ৩শ’ ডলার বেশি। এ্যাপলের টাচবারবিহীন ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো আছে। এর কী বোর্ডে টাইপ করতে ভারি ভালো লাগার কথা। তবে টাচবারসহ নতুন ম্যাকবুক প্রো পূর্বসূরিগুলোর চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। স্ক্রিন উজ্জ্বল, কাজেও লক্ষণীয়ভাবে ভাল এবং কম্পিউটারটি হাল্কা। তবে নতুন ম্যাকবুক প্রোর যে জিনিসটা আপনার মূল দৃষ্টি কেড়ে নেবে তা হলো এর টাচবার। ব্যবহৃত প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে এটি বদলায়। যেমন আপনি যদি সাফারি ব্যবহার করেন তা হলে টাচবারে আপনার প্রিয় সাইটগুলো স্থান পাবে। দাম একটা বড় ব্যাপার। নতুন এন্ট্রি লেভেলে টাচবার বিহীন ১৩ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রোর দাম দেড় হাজার ডলার আর টাচবার যুক্তটির দাম কমপক্ষে আঠারোশ’ ডলার। ম্যাকবুক-এ যেখানে ইউএসবি-সি পোর্ট আছে একটি সেখানে টাচবার যুক্ত ম্যাকবুক প্রোতে আছে ৪টি। বেশিরভাগ ইন্টারনেট সরঞ্জামের জন্য এখনও আমাদের এডাপটার ব্যবহার করতে হচ্ছে সেটাই একটা বিরক্তিকর ব্যাপার। তবে এ সমস্যাটা তো চিরদিন থাকবে না যদিও এ্যাডাপটারমুক্ত সরঞ্জাম নিতে হলে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এমনকি চমৎকারিত্ব সত্ত্বেও খোদ টাচবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠতেও কিছুদিন সময় লাগবে। এ্যাপলবাদে অন্যান্য কোম্পানি যদি এই প্রযুক্তি গ্রহণ না করে এবং নিজেদের কিছু কৌশল খাটায় তাহলে সবচেয়ে খারাপ যে পরিণতিটা দেখা যেতে পারে তা হলো টাচবার এক দারুণ সম্ভাবনার অপমৃত্যু হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তখন বলা হবে এটা এমন এক প্রয্ুিক্ত যা দারুণ রকমের ইন্টারেস্টিং অথচ যা কখনও পূর্ণ সম্ভাবনায় কাজে লাগানো হয়নি। অনুবাদ ॥ এনামুল হক সূত্র ॥ ওয়াশিংটন পোস্ট
×