ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস নির্মাণে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস নির্মাণে ধীরগতি

মশিউর রহমান খান ॥ ধীরগতিতে চলছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার বর্জ্য সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের নেয়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এসটিএস নির্মাণে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষের এসটিএস নির্মাণ প্রকল্পে অত্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ডিএনসিসি তার ৩৬টি ওয়ার্ডে ঘোষণা অনুযায়ী ২টি করে কমপক্ষে ৭২টির মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৫১টি এসটিএস নির্মাণ করলেও ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত ৫৭টি এসটিএস নির্মাণের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১টি এসটিএস নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এর কারণে রাস্তার ওপর খোলা স্থানেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করতে হবে দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এর ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বসবাসকারী ও চলাচলকারী নাগরিকদের বাধ্য হয়েই ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ সহ্য করতে হবে বছরের পর বছর ধরে। এক্ষেত্রে উত্তর সিটির নাগরিকরাও বাদ যাবেন না। ফলে অনেকটা ঘোষণাতেই তা সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে দক্ষিণ সিটির প্রতি ওয়ার্ডে কয়েকটি করে এসটিএস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ। নির্ধারিত সময়ে এসব এসটিএস নির্মাণ করতে না পারায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপেও রাস্তা পার হতে পারছেন না চলাচলকারী নাগরিকগণ। অনেক স্থানে প্রায় পুরো রাস্তা দখল করেই দিনের বেলায় সবার চোখের সামনেই ময়লা সংগ্রহ ও সরানোর কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। ফলে অনেকটা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই বসবাস ও চলাচল করছেন নাগরিকরা। এসটিএসগুলো সঠিক সময়ে নির্মাণ করতে না পারায় টোকাইরা রাস্তার ওপরে রাখা ময়লাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আবর্জনা থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুঁজে বের করছে। দুর্গন্ধ ছড়ানোর জন্য এসব টোকাইদের কেউ কোন প্রকার বাধা পর্যন্ত দিচ্ছেন না। ফলে পচা আবর্জনার দুর্গন্ধ আরও ছড়াচ্ছে ব্যাপকভাবে। দুর্গন্ধে বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার হচ্ছেন এসব খোলা ডাস্টবিনের পাশে বসবাসকারী বাড়ির নাগরিকগণদের। প্রকাশ্যে রাস্তার ওপরে পড়ে থাকা ও দিনের বেলায় ময়লা অপসারণের এমন আজগুবি পদ্ধতি ঢাকা ছাড়া পৃথিবীর কোন সভ্য রাষ্ট্রের কোন শহরেই দেখা মেলে না। সিটি কর্পোরেশনের নিয়মানুযায়ী রাতের আঁধারেই ময়লা সংগ্রহ ও পরিষ্কারের কাজ করার কথা থাকলেও নাগরিক বা সিটি কর্পোরেশনের কেউই তা মানছেন না। ইচ্ছামতোই চলছে ময়লা ফেলা ও সংগ্রহ করার কাজ। বাসাবাড়ি ও কলকারখানা থেকে পৃথক পৃথকভাবে সংগ্রহ করা ময়লা আবর্জনা এক স্থানে এনে রাখার জন্য ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা করতে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের ঘোষণা দিলেও অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে এসব এসটিএস নির্মাণের কাজ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩৬ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে কমপক্ষে ২টি করে মোট ৭২টি এসটিএস স্থাপন করার ঘোষণা দিলেও সর্বশেষ তথ্যমতে মোট ৫১টি এসটিএস নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব এসটিএসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, এছাড়া আরও ৮টি এসটিএস নির্মাণকাজ শেষ করা হলেও উদ্বোধনের অপেক্ষায় এসব এসটিএসে কার্যক্রম চালু করা হয়নি। বাকি ২টি এসটিএস নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজন ও আয়তন বুঝে কমপক্ষে ৩টি এসটিএস নির্মাণের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ঘোষিত বাকি এসটিএস কবে নাগাদ নির্মাণ করা সম্ভব হবে তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। তবে ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর ২ সিটিতে প্রতিদিন বর্তমানে ৬ হাজার টনেরও বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব ময়লা আবর্জনা ঘরবাড়ি, কলকারখানা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে এক করে রাস্তার ওপর থাকা কন্টেইনারে জমা হয়। এসব ময়লা আবর্জনা রাস্তার ওপর পড়ে থাকার কারণে পথচারীদের সীমাহীন দুর্গন্ধ সহ্য করতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমান সরকার ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো রাজধানীতে বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের মাধ্যমে সুষ্ঠু উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এই ময়লার কন্টেইনারগুলো সরানোর লক্ষ্যে বাসাবাড়ির বর্জ্য এসটিএস থেকে রাতের বেলায় কর্পোরেশনের গাড়ি আমিনবাজার বা মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে নিয়ে ফেলবে এমন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এসটিএস হলো প্রাচীর দ্বারা আচ্ছাদিত ময়লা আবর্জআ রাখার স্থান। কংক্রিটের মেঝের এসটিএস ১০ ফুট দেয়াল দিয়ে ঘেরা আর ময়লার কনটেইনারবাহী গাড়ি প্রবেশের সুবিধার্থে এতে দেয়াল থেকে ১০ ফুট ওপরে ছাউনি দেয়া হয়েছে। এসব এসটিএসের আয়তন ২ হাজার বর্গফুট থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ হাজার বর্গফুট পর্যন্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার ৭টি ওয়ার্ডের মোট ১০টি স্থানে এসটিএস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে ১০টি স্থানও নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ১০টি এসটিএস নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদারদের কাজও বরাদ্দ দেয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তার মোড়, জুরাইন কবরস্থান সংলগ্ন মাঠ, কলাবাগান, ওসমানী উদ্যানের পূর্ব প্রান্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোনারগাঁও রোডের পান্থকুঞ্জ ও নিউমার্কেটের পশ্চিম প্রান্তসহ মোট ১০টি স্থানে এসটিএস নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে কয়েকটি জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ও এলাকাবাসী বাধা দেয়ায় নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ কয়েকটি স্থান পরিবর্তন করেন। পরে এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণের ৫৭টি ওয়ার্ডে আপাতত ১০ ও পরবর্তীতে আরও ১০টি অর্থাৎ সর্বমোট ২০টি এসটিএস নির্মাণ হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ২ সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তার ওপর থাকা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী ময়লার কন্টেইনারগুলো সরানোর লক্ষ্যে চলতি বছরে (ডিএসসিসি) এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ৫৭টি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) তাদের ৩৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ২টি করে মোট ৭২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এসব এসটিএসের মধ্যে ডিএনসিসি ৫১টির কাজ সম্পন্ন করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মাত্র একটি এসটিএস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ডিএনসিসির তৈরিকৃত এসব এসটিএস বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, হাজারীবাগ এলাকায় ডিএসসিসির একমাত্র এসটিএস নির্মাণের কাজ শেষ হলেও আরও ৬/৭টির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেটাডোর ও পান্থকুঞ্জ এলাকার এসটিএস নির্মাণের কাজ স্থানীয়দের মামলার কারণে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কাপ্তানবাজার, শিক্কাটুলি, উল্টিগঞ্জে এসটিএস নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সূত্রাপুর, জুরাইন কবরস্থান ও জয়কালী মন্দির এলাকায় এসটিএস নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, গ্রীন রোড, উত্তরার আজমপুর, আগারগাঁও, তালতলা, ইন্দিরা রোড, বাড্ডা নতুন বাজারসহ অনেক এলাকায় এসটিএস নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় মূল সড়ক থেকে ময়লার কন্টেইনার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে অন্যান্য এলাকার মূল সড়কে থাকা ময়লার কন্টেইনার সরিয়ে নেয়ার সম্ভব হবে বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির মেয়র আনিসুল হক। তবে বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী ডিএনসিসি এলাকায় সকল রাস্তার ওপরের কন্টেইনার আদৌ সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ সব এলাকায় এসটিএস নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে রাজধানীর নাগরিকদের বাধ্য হয়েই রাস্তায় বেরুলেই পচা আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করতেই হবে। অপরদিকে, বছরের শুরুতে রাজধানীর ফুটপাথের পাশে ওয়েস্ট বিন স্থাপন শুরু করে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিটির ৫৭ ওয়ার্ডে ১০০টি করে মোট ৫ হাজার ৭ শতটি ওয়েস্ট বিন স্থাপনের কাজ শেষ করলেও উত্তর সিটিতে মাত্র ১ হাজারটি ওয়েস্ট বিন স্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরে আরও প্রায় ৩ হাজার বিন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসটিএস নির্মাণে দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও নগরবাসী এমন বর্জ্য ব্যবস্থার সুফল কতটুকু পাবে তা নিয়ে সন্দিহান নগর বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, খেলার মাঠ, পার্ক ও মানুষ চলাচলের রাস্তা দখল করে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী এমন ব্যবস্থা কখনই নগরবাসীর জন্য সুফল বয়ে আনবে না। প্রাথমিকভাবে নগরবাসী ময়লার দৃশ্য থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু দুর্গন্ধ থেকে যাওয়ায় তা নগরবাসীর জন্য কতটুকু উপকারী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে উৎস থেকে অর্থাৎ ঘর বা কলকারখানা থেকে প্যাকেটজাত অবস্থায় ময়লা সংগ্রহ করার দিকে মনযোগ দিলে দুর্গন্ধ থেকে নাগরিকগণ মুক্তি পেতে পারে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এসটিএস নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণে ঘনবসতি হওয়ায় চাইলেই সব জায়গায় করা যাচ্ছে না। উত্তর সিটিতে সরকারী জায়গার পরিমাণ বেশি। বিমানবাহিনীও তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। দক্ষিণে সরকারী জায়গার পরিমাণ কম। আমরা প্রয়োজনে জায়গা কিনে নিতেও প্রস্তুত। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী জায়গা পাওয়া কঠিন। পাওয়া গেলেও এলাকাবাসী আপত্তি দিয়ে বসছেন। তবে ইতোমধ্যে কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জানা গেছে, সম্প্রতি দক্ষিণের একটি জায়গা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সমঝোতা হয়েছে। ঢাকার এক সংসদ সদস্যের মধ্যস্থতায় এসটিএস নির্মাণে জায়গা দিতে রাজি হয়েছেন জমির মালিক। আরও দুটি জায়গার জন্য সমঝোতার চেষ্টা চলছে। তবে সুত্র জানায় দক্ষিণের নগরপিতা ৫৭টি ওয়ার্ডেই চাহিদা অনুযায়ী কমপক্ষে একটি করে এসটিএস নির্মাণের কথা বললেও আদৌ তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এর মূল সমস্য হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োজনীয় জমি না পাওয়া। এসটিএস ও রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, বর্জকে উৎস থেকে প্যাকেটজাত করা না হলে কোন পদ্ধতিই লাভ হবে না। উৎস থেকে তিনভাগে ময়লা ভাগ করতে হবে। প্যাকেটজাত এই ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে চলে যাবে। রিসাইকেল করা হবে। দুর্গন্ধ কিংবা অন্য কোন স্থানে নেয়ারই প্রয়োজন পড়বে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কর্নেল সেলিম মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ঘোষণা অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অতি গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা ডিএনসিসি এলাকায় এ পর্যন্ত ৫১টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। এর বাইরে নতুন আরও ৮টি এসটিএস নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যেগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর বাইরে নতুন ২টি এসটিএস নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য আরও অনেক স্থানে এসটিএস নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দিনের বেলায় ময়লা সংগ্রহ করার পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বেশিরভাগ সময় রাতের বেলায় ময়লা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছি। কিছু কাজ ঠিকাদার দিয়ে করায় এখনও বেশ কিছু খোলা ট্রাকে করে ময়লা সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা ময়লা আবর্জনা রাতের বেলায় সংগ্রহের চেষ্টা চলমান রয়েছে। তবে দুর্গন্ধ এড়াতে ও রাস্তার সৌন্দর্য রক্ষায় রাস্তার ওপর থেকে আমরা বড় বড় ময়লার কন্টেইনার অতি দ্রুত সরাতে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আশা করি ডিএনসিসি এলাকায় অতি দ্রুতই প্রধান প্রধান সড়কের ওপর থেকে এসব কন্টেইনার সরানো সম্ভব হবে।
×