ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় ত্রাণের চাল লুটে নিল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

বরগুনায় ত্রাণের চাল লুটে নিল চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ১৮ নবেম্বর ॥ সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দুই বারে জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। তবে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ আকন ত্রাণের চাল পুরোটাই আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের নাম থাকলেও তাদের অগোচরে ভুয়া মাস্টাররোল করে ১৯০ জনের মাঝে বিতরণ দেখিয়ে দিয়েছেন কাগজ-কলমে। জানা গেছে, কালমেঘা ইউনিয়নের সোনালী বাজার এলাকার আশি বছরের বৃদ্ধ আব্দুল ছত্তার ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে হারিয়েছেন বসত ঘর। তাই সরকারী সহায়তার লিস্টে নাম ছিল তার। কিন্তু তার নামের চাল উত্তোলন হয়ে গেলেও বৃদ্ধ সত্তার জানেন না কিছুই। মাস্টররোলে নাম ও চাল উত্তোলনে টিপসই থাকলেও চাল পাননি এরকম অনেক এলাকাবাসী। উল্টো মেম্বররা সাংবাদিকদের কাছে চাল পেয়েছেন বলে বলতে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন অভিযোগ অনেকের। শুধু চাল বিতরণে অনিয়মই নয়, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর পর কোন প্রকার সরকারী সহায়তা আসার কথা জানে না এলাকাবাসী। এদিকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা বাজারে জনগণের মুখোমুখি প্রশ্ন করা হলো পরিষদের দুই মেম্বরকে। মাস্টাররোলে নাম থাকা কাউকেই চিনলেন না ইউপি সদস্যদ্বয়। মিল নাই মূল তালিকায় থাকা এবং বিতরণের লিস্টে থাকা নামের মধ্যেও। একপর্যায়ে তারা জানালেন, চেয়ারম্যান একাই চাল বিতরণের বিষয়টি দেখভাল করেছেন। নেয়া হয়নি কারও কোন মতামত। তবে ত্রাণের চাল লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ আকন জানালেন সবই তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, মৌখিক ভাবে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, কালমেঘা ইউনিয়নে এ বছর ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯০টি পরিবারকে ২০ কেজি ত্রাণের চাল সহায়তা দেয়ার বরাদ্দ করেছিল সরকার।
×