ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে বেপরোয়া ভেজাল মবিল সিন্ডিকেট

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

যশোরে বেপরোয়া ভেজাল মবিল সিন্ডিকেট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কয়েকটি অবৈধ কারখানা খুলে যশোরের বকচর এলাকায় প্রতিনিয়ত ভেজাল মবিল উৎপাদন চললেও আটক হয় না সিন্ডিকেট প্রধান সেলিম। অজ্ঞাত কারণে ভেজাল মবিলের ডেরাগুলোতে পুলিশের অভিযানও চলে না। আইন প্রয়োগকারী কয়েকটি সংস্থার কিছু অসাধু অফিসারকে ম্যানেজ করে বেপরোয়া বাণিজ্য করে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেটটি। প্রকাশ্যে ভেজাল মবিল বিক্রি, মজুদ ও বাজারজাত করা এই বহুল আলোচিত মবিল সেলিম সিন্ডিকেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযানসহ চক্রের সদস্যদের আটক দাবি করেছেন স্থানীয়রা। সূত্র জানায়, গোপনে ও প্রকাশ্যে চলছে একাধিক ভেজাল মবিল কারখানা। বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলেও বিভিন্ন নামী দামী ব্রান্ডের লেভেল ও লোগো নকল করে চলছে এই ভেজাল মবিল উৎপাদন ও বাজারজাত আর বিকিকিনি। কয়েকজন অসাধু পুলিশ অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী কয়েকটি সংস্থার কিছু অসাধু সদস্যকে ম্যানেজ করে বকচর এলাকায় ভেজাল মবিল সিন্ডিকেট বেপরোয়া বাণিজ্য করে যাচ্ছে। আর ওই এলাকার সেলিম ওরফে মবিল সেলিম দীর্ঘদিন ওই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। দু’বছর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় ও কয়েকজনকে আটক করে। আর এ বছরের প্রথম দিকেও ভ্রাম্যামাণ আদালত মবিল সেলিমের ডেরায় অভিযান চালায়। ওই সময় আটক এড়িয়ে যায় সিন্ডিকেট প্রধান মবিল সেলিম। এছাড়া কয়েকদিন আগে সিন্ডিকেট সদস্য রাজিবকে জেল জরিমানা করে আদালত। তবে ভেজাল মবিল উৎপাদন, বাজারজাত করা ও দোকান বসিয়ে বিকিকিনি করা চক্রের ডেরায় পুলিশের অভিযান পরিলক্ষিত হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির বোতল ও ক্যান ব্যবহার করে যে প্রতারণা রাজিব করেছে তা সিন্ডিকেটের সবাই করে চলেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের বোতলে ভেজাল ও লুজ লুব্রিকেন্টস বোতলজাত করে বাজারজাত করে মোটরযানের ক্ষতি সাধন করে চক্রটি আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস হোসেন জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এর আগেও ভেজাল মবিল কারখানায় অভিযান চলেছে। কাগজপত্র নেই আবার মবিল উৎপাদনের নামে কেউ ভেজাল করবে তা হতে দেয়া হবে না।
×