ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের ১৪৮৪ স্পটে আজ প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামের ১৪৮৪  স্পটে আজ প্রধানমন্ত্রীর  ভিডিও কনফারেন্স

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জেলার লালদীঘি মাঠসহ অন্তত ১৪৮৪ স্পটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স আজ শনিবার। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে এই আয়োজন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একযোগে এতগুলো স্পটে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন আর হয়নি। এতে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত হবেন বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন। একইদিনে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা মৎস্য জরিপ জাহাজ। কর্মসূচী সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন জানান, ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে সমাবেশ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টায় গণভবন থেকে সরাসরি মতবিনিময় করবেন জনগণের সঙ্গে। চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রোথ সেন্টার (হাটবাজার) ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মতো বিনিময়ের সুযোগ থাকছে এ আয়োজনে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মেয়র, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, নারী কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। মহানগরে ২৭৮টি, উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি, পৌরসভা পর্যায়ে ১২টি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮০টি, গ্রোথ সেন্টারে ১৯২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৮৬টি, কলেজে ৫৯টি, মাদ্রাসায় ১১৪টিসহ মোট ১৪৮৪ স্পটে থাকবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। বিশাল এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে এমনই আশা প্রশাসনের। লালদীঘি মাঠে এ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। স্থাপন করা হচ্ছে অনেকগুলো মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর। পর্যাপ্তসংখ্যক মাইকের ব্যবস্থা থাকছে, যাতে মাঠে ধারণ সঙ্কুলান না হলে দূর থেকেও ভিডিও কনফারেন্স দেখা ও শোনা যায়। এ উপলক্ষে প্রশাসন ছাড়াও রাজনৈতিক দল, অঙ্গ সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার হয়েছে। মূলত জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও দেশের উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্যই এ আয়োজন। দেশে এত বড় পরিসরে ভিডিও কনফারেন্সিং এটিই প্রথম। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে এ আয়োজন হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
×