(পূর্ব প্রকাশের পর)
মেয়ে : ছি: ডার্লিং পুওর চবড়ঢ়ষব নিয়ে ওভাবে কথা বলতে নেই।
ছেলে : আরো আছে= ঐ যে পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ= ঐ সব পাড়া বেপাড়ার লোকজন। ইতোমধ্যে মিউজিশিয়ান গীটারে টুংটাং করতে থাকে।
নির্দেশক : (মিউজিশিয়ানকে) তুমি আবার টুংটাং শুরু করলে কেন?
স্বামী : তোমরা কোন পাড়ার শুনি।
মিউজিশিয়ান টিউনিং করে নিচ্ছি। ( সে আরো দু একবার বাজায়)
ছেলে : আমরা... আমরা... আমরা হচ্ছি আসল পাড়ার।
মেয়ে : না, না, আমরা হচ্ছি উর্ধ পাড়ার।
স্বামী : আসলে অধঃপাড়ার বুঝলে। (দর্শকদের ) দেখলেন তো, দেশটা কোথায় চলেছে। নির্দেশককে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনারা!
কাঞ্চু : গম্ভীর স্বরে হীরক রাজার দেশে। সেখানেই সব সমস্যার সমাধান।
নির্দেশক : আপনারই বা কি উদ্ধার করেছেন এতো দিন, শুনি! মাঝখান থেকে আমার কতোটা সময় নষ্ট হলো, সেটা বুঝতে পেরেছেন?
স্বামী : (স্ত্রীকে) তুমি থাকবে? (স্ত্রী সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে) আমি যাচ্ছি তাহলে।
স্ত্রী : তুমি তাহলে গাড়িটা রেখে রিকশা-টিকশা নিয়ে যাও। স্বামীর প্রস্থান।
নির্দেশক : যত্তোসব। (ছেলে ও মেয়েকে) যাও নিজেদের জায়গায় গিয়ে বসো। (তারা নির্দেশ পালন করে) গো অন।
ছেলে ও মেয়ে কি বলবে বা করবে ঠিক করতে পারছে না।
ছেলে : (হঠাৎ) জানো আমার না একটা গান গাইতে ইচ্ছে করছে।
মেয়ে : হলো না।
ছেলে : কি হলো না?
মেয়ে : এখন তো গানের সিকোয়েন্স নয়।
ছেলে : তাহলে?
মেয়ে : এখন মনে হয় ঐ যে পড়া-টড়ার কথা।
ছেলে : সেটা তো তোমার লাইন।
মেয়ে : হ্যাঁ।
ছেলে : তাহলে বলছো না কেন?
মেয়ে : (ফিসফিস করে) মনে পড়ছে না।
ছেলে : (ফিসফিস করে) একটা কিছু বানিয়ে বলে দাও।
মেয়ে : (একটু ভেবে) আমরা কোন স্কুলে পড়ি গো।
ছেলে : ভালোবাসার নার্সারিতে।
মেয়ে : বেশ মজার কথা বললে তো। জবধষষু সুন্দর। ঋধহঃধংঃরপ.
ছেলে : এর আগে যে আরো সুন্দর কথা বললাম।
মেয়ে : কোনটা?
ছেলে : চলো যাই, চলো যাই।
মেয়ে : সেটা বুঝি অমন সুন্দর হলো?
ছেলে : সবচেয়ে সুন্দর, সুন্দরতর, সুন্দরতম।
মেয়ে : এর চেয়ে সুন্দরতম অনেক কিছু পৃথিবীতে আছে।
ছেলে : না নেই।
মেয়ে : আছে।
ছেলে : যেমন।
মেয়ে : আমি আমার মুখ, আমার চোখ, আমার কেশদাম, আমার দেহবল্লরী আর.... আর আমার আয়না।
ছেলে : (বিস্মিত হয়ে ) আয়না!
মেয়ে : কারণ, ঐ আয়নাতে আমার সুন্দরতম সৌন্দর্যকে আমি দেখি।
ছেলে : না। ( মেয়ে বিস্মিত চোখে তাকায়) তুমি ভুল বললে প্রিয়তমা।
তুমি যে সুন্দর, সুন্দরতমা সে তো আমার চোখের আয়নাই তোমাকে বলে দিয়েছে।
মেয়ে : আমি না হলে তোমার জগৎ মিথ্যে।
ছেলে : তুমি না হলে আমার আকাশ অন্ধকার।
মেয়ে : আমি না হলে তোমার রাত্রি নিদ্রাহীন।
ছেলে : তুমি না হলে আমার দিগন্ত কুয়াশায় ঘেরা।
মেয়ে : তুমি না হলে আমার রাত্রিও নিদ্রাহীন।
ছেলে : (আনন্দে উত্তেজিত হয়ে) তা-ই! তাহলে চলো।
মেয়ে : (পূর্বেকার সিদ্ধান্তে) যাবো? কোথায়?
ছেলে : আগে এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি, তারপর...
মেয়ে : আগে ঠিক করে নাও।
ছেলে : আামদের সামনে দুটো পথই খোলা আছে। হয় আত্মহত্যা, নয় আমাদের স্বপ্নের দেশে।
মেয়ে : আত্মহত্যা করতে হলে ভেজাল পরীক্ষা তুমি করবে। আর তা না হলে প্রথমে কাজীর অফিসে।
ছেলে : আত্মহত্যা করতে তুমি রাজি হয়েছো।
মেয়ে : রাজী।
ছেলে : আমার সঙ্গে যেতেও তুমি রাজী হয়েছো।
মেয়ে : রাজী।
ছেলে : আমরা আত্মহত্যা করবো না। আত্মহত্যা মহাপাপ।
মেয়ে : তাহলে।
ছেলে : আমার সঙ্গে আমি যেখানে, তুমিও সেখানে।
মেয়ে : (আদুরে গলায়) প্রথমে কাজীর অফিসে, কেমন। তারপর যেখানে খুশি ...
ছেলে : (কঠিন করে) হ্যাঁ।
মেয়ে : হ্যাঁÑ
ছেলে : (চিৎকার করে ) না।
মেয়ে : এমন একটা পাশবিক চিৎকার না করলেও চলবে।
ছেলে : কি বললে? পাশবিক চিৎকার? আমার হৃদয়টা ভেঙ্গে খান খান করে দিয়ে এখন কিনা... (ক্রোধান্বিত আবেগ ও উত্তেজনায়) (চলবে)
শীর্ষ সংবাদ: