ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাফ মহিলা ফুটবলে শক্ত গ্রুপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

সাফ মহিলা ফুটবলে শক্ত  গ্রুপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমরা এই দলটা তৈরি করছি আগামী চার বছরের জন্য। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্ব আছে। ওটাতে ভাল করলে মেয়েরা ফিফা অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ তাই আমার কাছে বিশ্বকাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে তেমন কিছু আশা করছি না। এটা নতুন দল। এ দলে অনুর্ধ-১৪ ও ১৬ দলের খেলোয়াড়ই বেশি। দেখতে চাই, এই বাচ্চা মেয়েরা কি ধরনের ফুটবল খেলে। আমাদের লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বরের টুর্নামেন্টে ভাল করা।’ কথাগুলো কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং সাফের সভাপতি সালাউদ্দিনের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৬’র গ্রুপিং ড্র। বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন গ্রুপে। গ্রুপ ‘বি’তে তাদের সঙ্গে আছে এ আসরের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ভারত এবং ২০১২ আসরের তৃতীয় স্থান অধিকারী আফগানিস্তান (আফগানিস্তান এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে অতিথি দল হিসেবে)। ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজংঘা স্টেডিয়ামে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর। সাফের সেমিফাইনাল হবে ২ জানুয়ারি। ফাইনাল হবে ৪ জানুয়ারি। এই আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। বৃহস্পতিবারের ড্র অনুষ্ঠানে ৭টি দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। গ্রুপ ‘এ’তে পড়া চার দল হলো : নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান। ড্র অনুষ্ঠানে সাফ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানান, ‘এবারের আসরে আমরা সবাইকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া সবাই সাফে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। ড্র সাধারণত স্বাগতিকরাই করে থাকে। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন অনুরোধ করেছে ড্রটা যেন আমরাই করি। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ড্রতে অংশ নিতে। কিন্তু কেউ আসেনি।’ এ প্রতিযোগিতার সূচী এখনও নির্ধারিত হয়নি। গ্রুপ ‘এ’তে রয়েছে চারটি দল। চার দলের গ্রুপের প্রতিদিন দু’টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে দুটি করে ম্যাচ থাকলে প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ২টায়, দ্বিতীয় ম্যাচটি সন্ধ্যা ৬টায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের গ্রুপ ‘বি’তে তিন দল। তাই প্রতিদিন একটি করে ম্যাচ হবে এই গ্রুপের। সেক্ষেত্রে ম্যাচটি হবে দুপুর আড়াইটায়। বাংলাদেশের দুটি খেলার সম্ভাব্য তারিখ ২৯ ডিসেম্বর (আফগানিস্তান) এবং ৩১ ডিসেম্বর (ভারত)। বাংলাদেশের গ্রুপে তিন দল হওয়ায় দুই ম্যাচের একটি জিতলেই শেষ চারে যাওয়া মোটামুটি নিশ্চিত করতে পারবে বাংলাদেশ। যদিও বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন জানান, এবারের সাফটাকে তারা নিয়েছেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুর্ধ-১৬ দলের মেয়েরা খেলবে এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্ব। সেখানে শীর্ষ তিন দলের মধ্যে থাকতে পারলে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮ সালের ফিফা অনুর্ধ-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত এক বছরে অনুর্ধ-১৪ ও ১৬ দলটি তিনটি শিরোপা জিতেছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে। তাই সাফে জাতীয় দলে থাকবে অনুর্ধ-১৬ দলের ফুটবলারদের প্রাধান্য। তবে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র কিছু ফুটবলারও নেয়া হবে। চার বছর পর যখন এই মেয়েদের বয়স ২০ হবে তখন লক্ষ্য হবে সাফের শিরোপা জেতা।’ উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে দুই বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টানা তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। মজার ব্যাপারÑ প্রতিবারই রানার্সআপ হয় নেপাল। বাংলাদেশ তৃতীয় হয় ২০১০ এবং ২০১৪ আসরে। এখন দেখার বিষয়, এবার তারা কেমন ফল করে।
×