ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ॥ মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ॥ মিসবাহ

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেল, কিউই ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতিকেই বড় দুর্বলতা ভাবছেন পাক অধিনায়ক স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রাইস্টচার্চে প্রথমদিনটা ড্রেসিং রুমে বসে বসেই কাটাতে হলো ক্রিকেটারদের। বৃষ্টির কারণে টসই হয়নি। তাই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সফরকারী পাকিস্তানের পরীক্ষার শুরুটাও হতে পারলো না। গত ৭টি সিরিজ অপরাজিত থাকা পাক ক্রিকেট দলের জন্য গত দুই বছরের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ৭ সিরিজের মধ্যে চারটিই তারা নিজেদের হোমগ্রাউন্ড হিসেবে বিবেচিত আরব আমিরাতে খেলেছে। দুটি উপমহাদেশে (বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সফর) আর একটি ইংল্যান্ড সফর। তবে পাক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক এমন চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই এসেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ড টেস্ট স্কোয়াডের ব্যাটিং লাইনআপকে নড়বড়ে বলেই অভিহিত করেছেন। আর সে কারণেই বাড়তি সাহস পাচ্ছেন দলের চমৎকার বোলিং আক্রমণ নিয়ে। তবে একইসঙ্গে নিজ দলের ব্যাটসম্যানদের জন্যও চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৫ সালে ভারত সফর ৩-০ ব্যবধানে হেরে ঘরে ফিরেছিল। এরপর হোমসিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে পরাজিত হয়। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের চেয়ে ছোট র‌্যাঙ্কের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরেছে এবং এখন দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাদের ভরাডুবি হয়েছে প্রথম দুই টেস্টে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এবার এমন ধরনের পরিস্থিতি পাল্টাতে আশাবাদী। তারা ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ভারত থেকে ফিরলেও ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ কিছু করতে চায়। কিন্তু মিসবাহ সেটা হতে দেবেন না। কারণ বিশ্বের দুই নম্বর টেস্ট দল হিসেবে গত দুই বছর ধরে কোন সিরিজ হাতছাড়া করেনি তারা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফরে তারা সিরিজ হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে। এরপর টানা জিতেছে তারা। সবমিলিয়ে ৭টি সিরিজের মধ্যে ২টি ড্র করলেও বাকি ৫টি জিতেছে মিসবাহরা। বিশেষ করে দুইমাস আগে ইংল্যান্ড সফরে ২-২ সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ করার পর প্রথমবারের মতো র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর টেস্ট দল হয় পাকরা। এরপর থেকেই চরম আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন মিসবাহ। তিনি মনে করেন কিউই ব্যাটিং লাইন কিছুটা নড়বড়ে এবং নিজেদের শক্ত বোলিং বিভাগ দিয়েই তাদের সমস্যায় ফেলবে পাকিস্তান। মিসবাহ বলেন, ‘আপনারা যদি দেখেন ভারত সফরে অধিকাংশ কিউই ব্যাটসম্যান খুব সংগ্রাম করেছে এবং এরপর তাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আমি জানি এটা তাদের এলাকা এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকবে এখানে খেলার সময়। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাল করার জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মতো নৈপুণ্য লাগে। তাদের এখন যেহেতু সেটায় ঘাটতি আছে, আমরা ওটাই তছনছ করার দিকে মনোযোগী। ‘অবশ্য একেবারেই ভিন্ন রকমের কন্ডিশনে এবার খেলতে হবে মিসবাহদের। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার কারণে দেখা সম্ভব হয়নি কতটা ভালভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে পাকরা। এ বিষয়ে মিসবাহ বলেন, ‘যদি কন্ডিশনের দিকে নজর দেন তবে দেখবেন যে আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিস্তর তফাত। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে আমাদের ব্যাটিং নিয়েই যত চিন্তা। আমরা যেমন পরিবেশের সঙ্গে মানানসই সেটার চেয়ে এখানে আছে ভিন্নতা। দলের অনেকেই নিউজিল্যান্ড সফর করেছে আগে, সেটা সবাই ভাল করেই জানে। এ কারণে সুশৃঙ্খল ব্যাটিং খুব জরুরী। সেটাই আমাদের নিশ্চিত করে কিছু রান তুলতে হবে।’ এ্যান্টি ডোপিং নিয়ে সেমিনার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ক্রীড়াঙ্গনে ডোপিং এক মারাত্মক ব্যাধি। ডোপমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্ব এ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির সঙ্গে বাংলাদেশও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তারা ডোপিং এবং এ্যান্টি ডোপিং সম্পর্কে সচেতন হবেন।’ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ্যান্টি ডোপিং বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফকরুদ্দিন হায়দার এবং ডা. শফিকুর রহমান। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় বাংলাদেশের ৩টি ভেন্যুতে ডোপিং বিরোধী শিক্ষা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কার্যক্রমের আওতায় আগামী ১৯ নবেম্বর বিকেএসপিতে, ২২ নবেম্বর ঢাকা এবং ২৬ নবেম্বর চট্টগ্রামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মশালায় ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
×