ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৮ থেকে এ্যাকর্ড-এ্যালায়ান্সের প্রয়োজন নেই ॥ শ্রম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

২০১৮ থেকে এ্যাকর্ড-এ্যালায়ান্সের প্রয়োজন নেই ॥ শ্রম প্রতিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের দুই জোট এ্যাকর্ড-এ্যালায়েন্স যে কার্যক্রম চালাচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে তা সরকার করবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির প্রধান বার্নড ল্যান্ডের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠকের পর তিনি এই তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কনফিডেন্ট যে, ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারব। এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্স ছাড়া আমরাই এ কাজগুলো করতে পারব। আমরা মনে করি না ২০১৮ সালের পর আর এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের আমাদের এখানে থাকার প্রয়োজন আছে। আমরা পারব, পারার মতো আমাদের এক্সপার্ট আছে। তাদের এ কথা বলে দিয়েছি। ২০১৮ সাল থেকে সেই দায়িত্বটা লেবার মিনিস্ট্রির পক্ষ থেকে আমরা সেটা নেব। সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর ইউরোপীয় ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ‘এ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’ এবং আমেরিকার ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশ সেফটি এ্যালায়েন্স’ গঠন করা হয়। ইইরোপীয় চুক্তিটি সংক্ষেপে ‘এ্যাকর্ড’ নামে পরিচিত। এ চুক্তিতে এ পর্যন্ত ৮৪টি প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করেছে। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও গ্যাপসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়েছে। ‘এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ইনিশিয়েটিভ’ সংক্ষেপে ‘এ্যালায়েন্স’ নামে পরিচিত। এই দুই জোটের সঙ্গে করা সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে। এ্যাকর্ড-এ্যালায়েন্স বাংলাদেশে কত দিন কাজ করবে, এমন প্রশ্নে চুন্নু বলেন, আমরা তাদের বলেছি, আমরা নতুন পরিদর্শক নিয়োগ দিয়েছি। ইন্সপেক্টরের ৫০০ পদের বিপরীতে ২৬৪ জন আছে। আরও ৮৯ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি সুপারিশ করেছে, বাকিগুলোও দেবে।
×