ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফের কমছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

ফের কমছে জ্বালানি তেলের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। এখন আমরা কাগজপত্র প্রস্তুত করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে দেব। প্রধানমন্ত্রী ফেরার পর তার সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ ২২) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার মরক্কোর মারাকেশে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরেছেন তিনি। এর আগে সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে ফিসকাল কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়, যা আগামী মাস থেকে কার্যকর হতে পারে বলে গণমাধ্যমের খবর। আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আর্থিক ব্যবস্থাপনার চলমান পথে টিকে থেকে কিভাবে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মুহিত জানান। মুহিত বলেন, যে রাস্তায় আমরা চলছি, সেখানে কিভাবে আমরা থাকতে পারি আর গতিটা কিভাবে বাড়াতে পারি- সেটাই বলছে সবাই। তিনি বলেন, সুবিধা যেটা আমরা নিচ্ছি, সেটা কিভাবে আরও নিতে পারি এটা ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ এখন একটু ভাল অবস্থানে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের যে দামটা আছে, আরেকটু কমালে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, এর আগে জ্বালানি তেলের দাম যা কমানো হয়েছে তাতে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন আসেনি। তেলের দাম আমরা কিছুটা কমিয়েছি, ফার্নেস অয়েলের দাম আমরা কমিয়েছি। বাকি যা কমিয়েছি, সেটা নমিনাল। নতুন করে তেলের দাম কতটা কমানো হতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এগুলো নিয়ে বসতে হবে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তেলের জন্য দেয়া ভর্তুকির লোকসান সরকার এর মধ্যে কাটিয়ে উঠেছে জানিয়ে মুহিত বলেন, কোন লোকসান নাই, মোর দ্যান কাভারড। এমনকি সরকার যে টাকা পাওনা ছিল, সেটাও পেয়ে গেছি। প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমায় সরকার। তার আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। জ্বালানি তেলের দাম কমালেও সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পায় না বলে প্রচলিত অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের বেনিফিট আসবে। সবকিছুর দাম কমে যাবে। দৃষ্টান্ত হিসেবে বিদ্যুতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম আমরা রিভাইজ করব। এখন তেলের দাম কমলে এটা হয়ত খুব বাড়বে না। অন্যথায় এটা দ্বিগুণও হতে পারত। পরিবহন ভাড়া কমবে। তিনি বলেন, তেল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির খুবই মৌলিক বিষয়। আমাদের এই যে সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে জ্বালানি। আমরা এটা দিতে পেরেছি। তেলের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিদ্যুতের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সস্তা বিদ্যুত তো পাচ্ছি না। জলবিদ্যুত কিছুই হচ্ছে না।
×